শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় পাকিস্তানের জয়

৩৪১ রান করেও জিততে পারলো না বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় উল্টো ২ উইকেটে জয় পেয়ে গেলো পাকিস্তান। তবে হার-জিত বড় কথা নয়, প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরে নিলো দুই দল।

তামিম ইকবালের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলার পর বাংলাদেশ অনায়াসেই জয় পেয়ে যাবে- এমনটাই ভেবেছিল সবাই; কিন্তু ফাহিম আশরাফ নামে এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হওয়া এক অলরাউন্ডারের কাছে হারতে হলো মাশরাফিদের।

৩০ বলে ৬৪ রান করে ফাহিম আশরাফ এবং হাসান আলি ১৫ বলে ২৭ রান করে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে জয় উপহার দেন।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। বল করতে আসেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ফাহিম আশরাফ প্রথম দুই বল থেকেই তুলে নিলেন ৯ রান। প্রথম বলে মারলেন ছক্কা। দ্বিতীয় বলে তিন। তৃতীয় বলে হাসান আলি মাশরাফিকে বাউন্ডারি মেরে ফিনিশিংয়ের কাজটি করে দেন।

১০ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১০৯ রান। শেষ পাঁচ ওভারে ছিল ৬৩ রান। সে জায়গা থেকে হাসান আলি আর ফাহিম আশরাফ মিলে ৬.৫ ওভারে ৯৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে নাটকীয় জয় এনে দেন। সাকিব, মাশরাফি, শফিউল কিংবা তাসকিন- কোনো বোলারকেই সমীহ করেনি পাকিস্তানের এই দুই ব্যাটসম্যান। প্রতি ওভারেই ১০, ১৫, ১৬ করে রান নিয়ে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

৩৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আজহার আলিকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। তার খানিক পরেই বাবর আজমকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। ১৯ রানে ২ উইকেট পড়ার পর ৫৯ রানের জুটি গড়েন আহমেদ শেহজাদ এবং মোহাম্মদ হাফিজ।

শেষে ৪৪ রান করার পর সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে যান আহমেদ শেহজাদ। ৬২ বলে ৪৯ রান করে আউট হন হাফিজ। ৬৬ বলে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন শোয়েব মালিক। ৫০ বলে ৪৫ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম।

তবে ৯ম উইকেট জুটিতে কাজের কাজটি করেছেন ফাহিম আশরাফ এবং হাসান আলি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজ এবং রুবেল হোসেনকে ছাড়াই বোলিংয়ের কাজটি করিয়েছেন মাশরাফি। তিনি নিজে, তাসকিন, শফিউল, মোসাদ্দেক হোসেনরা নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।