শোক দিবসের র‌্যালিতে সংঘর্ষ, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর

পটুয়াখালীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের র্যালিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কাঙালি ভোজ ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে জেলার গলাচিপা পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শোক দিবস উপলক্ষে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ এবং অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বোনের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম শাহাজাদা সাজুর নেতৃত্বে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিটি দলীয় কার্যালয়ের কাছাকাছি (হাফিজ পুল এলাকা) পৌঁছালে স্থানীয় এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে এমপি জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে জৈনপুরী খানকায় প্রতিপক্ষের আয়োজন করা কাঙালি ভোজ ফেলে দেয়। এছাড়াও জাহাঙ্গীর সমর্থকরা প্রতিপক্ষ হারুন অর রশিদ এবং এস এম শাহাজাদা সাজুর গোডাউন রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্রসহ ৯টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

এমপি জাহাঙ্গীর সমর্থক গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার কামরুল বলেন, এ ঘটনার জন্য শাহাজাদা সাজুর লোকজন দায়ী। তারা অশ্লীল স্লোগান দেয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের ১০-১২জন লোক আহত হয়েছে। আমরা কোথাও হামলা করিনি।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের শোক র‌্যালিতে এমপি জাহাঙ্গীর সাহেবের নির্দেশে ক্যাডাররা হামলা চালায়। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা উৎসুক জনতার মতো তা দেখেছে। পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এমপির সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের কাঙালি ভোজ তছনছ করে, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। এমনকি তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।

গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।