শোলাকিয়ায় সৈয়দ আশরাফকে আবেগঘন বিদায়

নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজায় শামিল হতে অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। শেষ বারের মতো প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে যেন আবেগের কমতি ছিল না। যে কর্মী-সমর্থকরা তাকে পাঁচবার পাঠিয়েছেন জাতীয় সংসদে নিজেদের ভাগ্যউন্নয়নে সেই নেতাকে হারানোর বেদনা যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা।

এ মাটির মানুষই নিজেদের প্রতিনিধি করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে পাঁচ পাঁচবার পাঠান জাতীয় সংসদে। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে যে নেতাকে কখনো খালি হাতে ফেরাননি কিশোরগঞ্জের মানুষ, রোববার (৬ জানুয়ারি) শেষবারের মতো সেই নেতাকে বিদায় জানাতে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

দুপুরে জানাজার কথা থাকলেও সকাল থেকেই শোলাকিয়া ময়দানে জড়ো হন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ দূর দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ।

দুপুর সোয়া ১টায় অনুষ্ঠিত হয় সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় জানাজা। জানাজা শেষে একাত্তরের এই গেরিলা যোদ্ধাকে দেয়া হয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান। এরপরই নিজ নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন কিশোরগঞ্জ-এক আসন থেকে নির্বাচিত পাঁচবারের এই আইন প্রণেতা।

জানাজায় অংশ নিতে এসে সবার কণ্ঠেই ঝরলো সৈয়দ আশরাফের উদারতার কথা। স্মরণ করেন কিশোরগঞ্জ নিয়ে তার উন্নয়ন ভাবনা।

প্রিয় অভিভাবক হারিয়ে নিয়ে কিশোরগঞ্জবাসী বলছে, এ শূন্যতা পূরণ হবার নয়। তবে সৈয়দ আশরাফ বেঁচে থাকবেন রাজনীতির শুদ্ধ পুরুষ হয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।