শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফের সড়ক অবরোধের চেষ্টা

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকেরা।

সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধের চেষ্টা করছেন নীপা গার্মেন্টস, চৈতি গার্মেন্টস, ফ্লোরা ফ্যাশন, অ্যাপারেলস গার্মেন্টসসহ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে গার্মেন্টসের সামনে বিক্ষোভের পর বিমানবন্দরের দিকে সড়ক অবরোধের চেষ্টা চালালে বাধা দেয় পুলিশ।

আজমপুর রেলক্রসিংয়ের কাছে পুলিশের সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। এর আগে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা নীপা গার্মেন্টসে আগুন লাগিয়ে দেন। চৈতি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান থেকে গরম পানি ছোড়ে।

আশপাশের কয়েকটি গার্মেন্টসের কর্মীরা জসীমউদ্দিনের কাছে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। আরেকটি দল আজমপুরে এক হওয়ার চেষ্টা করছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, যেকোনো মূল্যেই হোক, রাস্তায় শ্রমিকদের নামতে দেওয়া হবে না। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য তাঁদের মহাসড়কে নামতে দেওয়া হবে না।

সরকার ঘোষিত কাঠামো পর্যালোচনা করে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত রোববার থেকে বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে রোববার সকাল ৯টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিমানবন্দর থেকে উত্তরা আজমপুর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

সাভারে বিক্ষোভ
ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবি আজ সাভারের অন্তত ছয়টি স্থানে পোশাক শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখায়। এসব জায়গার রাস্তায় নেমে আসে ১৫টি কারখানার শ্রমিক।

হেমায়েতপুরের বাগবাড়ি, আশুলিয়ার খেজুরটেক, পুকুরপাড়, কাঠগড়া, সাভারের উড়াইল, রাজাবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ হয়।

কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় শ্রমিকদের।

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবি আজ মঙ্গলবার সাভারের অন্তত ছয়টি স্থানে পোশাক শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখায়। এসব জায়গার রাস্তায় নেমে আসে ১৫টি কারখানার শ্রমিক। হেমায়েতপুরের বাগবাড়ি, আশুলিয়ার খেজুরটেক, পুকুরপাড়, কাঠগড়া, সাভারের উড়াইল, রাজাবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ হয়। কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় শ্রমিকদের।