শ্রীলঙ্কার দারুন জয়, জমে উঠেছে ‘বি’ গ্রুপের লড়াই

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অন্যতম ফেভারিট ভারতকে শুরুতে ৩২১ রানের বড় স্কোর গড়তে দেখে অনেকেই হয়তো কোহলিদের জয় অবধারিত বলে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কাও জবাবটা ভালোই দিয়েছে। দলীয় সমন্বয়ের দারুন উদাহরণ গড়ে লঙ্কানরা ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। শ্রীলঙ্কার এই জয়ে জমে উঠেছ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের লড়াই।

‘বি’ গ্রুপের চারটি দলের দুটি করে খেলা শেষে সবার ঘরেই যোগ হয়েছে দুই পয়েন্ট। এই গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচের জয়ী দল পেয়ে যাবে সেমিফাইনালের টিকিট। নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে খেলতে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই ফেভারিট ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে একটিকে বিদায় নিতে হবে গ্রুপ পর্ব থেকেই।

আজ ভারতের বিপক্ষে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। পঞ্চম ওভারেই ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলাকে সাজঘরমুখী করেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৯ রানের দারুণ জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা বেশ ভালোভাবেই সামলেছিলেন গুনাথিলাকা ও মেন্ডিস। এই জুটি ভাঙতে ভারতের বোলারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৮তম ওভার পর্যন্ত। ৭২ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে রান-আউটের ফাঁদে পড়েছেন গুনাথিলাকা। চার ওভার পর তাঁর দীর্ঘ সময়ের সঙ্গী মেন্ডিসও পড়েছেন রান-আউটের ফাঁড়ায়। মাত্র ১১ রানের জন্য শতকবঞ্চিত হয়েছেন মেন্ডিস। তবে হঠাৎ করে পাওয়া এই ধাক্কা খুব ভালোভাবেই সামলেছেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও কুশল পেরেরা। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ৭৫ রানের জুটি। ৪৩তম ওভারে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ৪৭ রান করা পেরেরাকে। আর ৫২ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ম্যাথিউস। গুনারত্নে অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রান করে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ১২৫, রোহিত শর্মার ৭৮, মহেন্দ্র সিং ধোনির ৬৩ রানের ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৩২১ রান জমা করেছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার পক্ষে দুটি উইকেট পেয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা। একটি করে উইকেট গেছে সুরঙ্গা লাকমল, নুয়ান প্রদীপ, থিসারা পেরেরা ও আসেলা গুনারত্নের ঝুলিতে।