‘সংলাপের দুয়ার বন্ধ হলেও এখনো আলোচনা সম্ভব’

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুইপক্ষ আগের মতো অনড় অবস্থানে থাকলেও নিরাশ নন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ‘আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপের দুয়ার বন্ধ হলেও আলোচনা হতে পারে’- দুই পক্ষের এমন বক্তব্যে আশার আলো দেখছেন তারা। তাদের মতে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো সময় আলোচনার মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারে দুই পক্ষই।

গত পহেলা নভেম্বরের পর, সাত দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফায় সংলাপ। প্রায় তিন ঘণ্টার দীর্ঘ সংলাপে কয়েকটি বিষয়ে জোর দিয়ে পূর্বের মতোই সাত দফা দাবি উত্থাপন করে ঐক্যফ্রন্ট। অত্যন্ত খোলামেলা পরিবেশে আলোচনা হলেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দলের অবস্থানই ছিল পূর্বের মতো অনড়।

সাত দফা দাবির অধিকাংশ মেনে নেয়া হয়েছে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমন বক্তব্য দিলেও, সংবিধানের বাইরে গিয়ে সংসদ ভেঙে দেয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন। অপরদিকে, প্রকাশ্যে অসন্তুষ্টি না জানালেও এখনো শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দলের এমন অনড় অবস্থানেও নিরাশ নন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বলছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শেষ হলেও তফসিল ঘোষণার পরও চলতে পারে আলোচনা।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন সংলাপ শেষ এখন আলোচনা হবে। সংলাপ এবং আলোচনার মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখি না। একমত হওয়ার লক্ষ্যে কথাবার্তা হয়। সেটার নাম সংলাপ বা আলোচনা তা একই। সেটা নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত হতে পারে।’

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘আলোচনার সুযোগ সব সময় থাকবে। তফসিল ঘোষণার পরেও আলোচনার সুযোগ থাকবে। সেটা সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। সংলাপের যে লক্ষ্য সংসদ নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে করা তাতে আমরা এগিয়ে গিয়েছি।’

এদিকে, রোড মার্চের কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়াকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বলছেন, এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের অংশ নেয়ারই ইঙ্গিত বহন করে।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চাচ্ছে। এটা নির্বাচন করা পর্যন্ত চলতেই থাকবে। শোডাউন করা অন্যান্য কর্মসূচী পালন করা এগুলো তাদের পক্ষ থেকেও সরকারের পক্ষ থেকেও হবে।’

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, তারা যে জনসভা করছে তা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ। তারা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। এখন তাদের জনগণের সামনে নিজেদের উপস্থাপন করতে হবে। সেই প্রক্রিয়ায় তারা শুরু করেছেন।

রাজনৈতিক অঙ্গনের ধোঁয়াশা কেটে গিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এমনই প্রত্যাশা সবার।