সত্যিই চাঁদে পারমাণবিক হামলা করলে কী হতো?

পারমাণবিক বোমা মেরে চাঁদ ধ্বংস করে দেয়ার মতো ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা। বিশেষ করে রাশিয়াকে ভয় দেখানো।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যন্ত গোপনীয় এই পরিকল্পনার নাম ছিল ‘এ স্টাডি অফ লুনার রিসার্চ ফ্লাইটস’ অথবা ‘প্রজেক্ট এ১১৯।’

লিয়োনার্ড রেইফেল ওই প্রজেক্টের একজন পদার্থবিদ ছিলেন। সিএনএনের একটি ইন্টারভিউয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, যদি প্রজেক্টটি বাস্তবায়িত হত তাহলে চাঁদের কিছুটা ক্ষতি হত বা চাঁদ কি কক্ষপথচ্যুত হতে পারত?

উত্তরে তিনি বলেন আমাদের তত পরিমাণ নিউক্লিয়ার অস্ত্র ছিল না যা দিয়ে এমন কিছু করা যাবে। চাঁদের ন্যূনতম ক্ষতি করতে ১০ ট্রিলিয়নমেগাটন টিনটির শক্তি প্রয়োজন হবে।

আমরা আসলে চাঁদে তেজষ্ক্রিয়তার পরিমাণ সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। সূর্যের তেজষ্ক্রিয়তা ও কসমিক রশ্মির বিরুদ্ধে চাঁদের কোন প্রতিরক্ষা নেই যেমনটি পৃথিবীর আছে।

২০০৯ সালে নাসা চাঁদের তেজষ্ক্রিয়তার পরিমাপ করতে লুনার রিকনাসেন্স অরবিটার পাঠায়। নিউক্লিয়ার বোমা বিষ্ফোরণে চাদের তেজষ্ক্রিয়তারও তেমন কোন পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।