সবই সম্মতিতে, পল্লবী ধর্ষণে আকবরের পাশে স্ত্রীও

আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈয়ের ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারতের বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী এমজে আকবর।

তিনি দাবি করেন, নব্বইয়ের দশকে সাংবাদিক পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আর তাদের মধ্যে যা কিছু হয়েছিল, সবই দু’জনের সম্মতিতে। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।

এমজে আকবরের এই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন তার স্ত্রী মল্লিকা। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে ওর (পল্লবী গগৈই) সম্পর্কের কথা জানতাম আমি। এমনকি, আমার সামনেও আকবরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছেন উনি। একসঙ্গে বসে মদ্যপান করেছেন। তখন নির্যাতনের ছাপ দেখিনি ওদের মুখে। পল্লবীর মিথ্যে বলার কারণ জানি না। তবে ডাহা মিথ্যে বলছেন উনি।’

সম্প্রতি একাধিক নারী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন, যার জেরে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে তাকে। তাতে নয়া সংযোজন ঘটে বুধবার।

মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তার বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈ।

তিনি বর্তমানে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও’(এনপিআর)-তে কর্মরত। সেখানে দু’দশক আগের কথা তুলে ধরে আকবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তিনি।

এরপর বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেয়া বিবৃতিতে আকবর বলেন, ‘১৯৯৪ সাল নাগাদ পল্লবী গগৈ এবং আমার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাতে দু’জনেরই সম্মতি ছিল। বেশ কয়েক মাস টিকেও ছিল সম্পর্কটি। বিষয়টি সর্বসমক্ষে এসে পড়ায় বাড়িতে তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। যার পর সম্পর্ক ভেঙে যায়। তবে সম্পর্কের শেষটা বোধ হয় ভাল হয়নি।’

তিনি দাবি করেন, ‘সেই সময় তাদের সঙ্গে যারা কাজ করতেন, তাদের অনেকেই সম্পর্কের কথা জানতেন। বিষয়টি নিয়ে সাক্ষ্য দিতে রাজি সকলেই।’

এরপর এমজে আকবরের স্ত্রী মল্লিকা আকবরও স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এতদিন মিটু আন্দোলন থেকে দূরেই ছিলাম। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্টে পল্লবী গগৈয়ের অভিযোগ দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। সত্যিটা তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে।’

এরপরই মল্লিকা বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে ওর সম্পর্কের কথা জানতাম আমি। রাতবিরেতে বাড়িতে ফোন আসত। এমনকি, আমার সামনেও আকবরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছেন উনি। তুষিতা পটেল এবং পল্লবী গগৈ আমাদের বাড়িতে নৈশভোজেও এসেছেন। একসঙ্গে বসে মদ্যপান করেছেন। তখন নির্যাতনের ছাপ দেখিনি ওদের মুখে। পল্লবীর মিথ্যে বলা কারণ জানি না। তবে ডাহা মিথ্যে বলছেন উনি।’