সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে রবি, হারিয়েছে গ্রামীণফোন

নম্বর না বদলে অপারেটর পরিবর্তনের সেবা এমএনপি চালু হওয়ার প্রথম ১৮ দিনে মোট অপারেটর বদলের আবেদন হয়েছে ৪৭ হাজার ৯০টি। এর মধ্যে সফলভাবে অপারেটর পরিবর্তন করতে পেরেছে ২৬ হাজার ৮১৭ এবং ব্যর্থ হয়েছে ২০ হাজার ২৫৫ গ্রাহক। আবেদন করেও অপেক্ষায় আছে ১৮ জন। এই ১৮ দিনে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে রবি এবং সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন।

চালুর প্রথম ১৮ দিনে রবি পেয়েছে ১৬ হাজার ৯১৬ গ্রাহক। রবি থেকে ৫ হাজার ৯৭৩ গ্রাহক অন্য অপারেটরে চলে গেছে। গ্রামীণফোন থেকে চলে গেছে ১১ হাজার ৬৭৬ জন। বিপরীতে তাদের নেটওয়ার্কে এসেছে ৪ হাজার ৪১ গ্রাহক।

এমএনপি সেবা চালুর পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পরিসংখ্যানে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিটিআরসির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, রবিতে আসা গ্রাহকদের মধ্যে ৯ হাজার ২৫৮ গ্রাহকই এসেছেন গ্রামীণফোন ছেড়ে। এছাড়াও টেলিটক থেকে এসেছে ১৬৫, বাংলালিংক থেকে ৭ হাজার ৪৯৩ গ্রাহক। একইসঙ্গে রবি ছেড়ে টেলিটকে গেছে ১৪০, গ্রামীণফোনে ২ হাজার ৬৪৩ ও বাংলালিংকে ৩ হাজার ১৯০ জন। এই সময়ে রবি ছাড়তে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে ২ হাজার ৬৯৩ জন।

গ্রাহক হারানোর শীর্ষে থাকা গ্রামীণফোন থেকে ৮ হাজার ৬৪২ গ্রাহক অন্য অপারেটরে যেতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ছেড়ে যেতে পেরেছে ১১ হাজার ৬৭৬ গ্রাহক।

গ্রামীণফোন থেকে টেলিটকে গেছে ১২৩, রবিতে ৯ হাজার ২৫৮ এবং বাংলালিংকে ২ হাজার ২৯৫ গ্রাহক। অন্যদিকে গ্রামীণফোন পেয়েছে ৪ হাজার ৪১ গ্রাহক। এই গ্রাহকের মধ্যে টেলিটক থেকে ৪৬, রবি থেকে ২ হাজার ৬৪৩ ও বাংলালিংক থেকে ১ হাজার ৩৫২ জন।

বাংলালিংক প্রথম ১৮ দিনে গ্রাহক যোগ করতে পারলেও ছেড়ে যাওয়া গ্রাহকের সংখ্যাই বেশি। এখন পর্যন্ত বাংলালিংক ৫ হাজার ৫২৬ গ্রাহক পেয়েছে, হারিয়েছে ৮ হাজার ৯১৬ জন। বাংলালিংকে টেলিটক থেকে এসেছে ৪১, গ্রামীণফোন থেকে ২ হাজার ২৯৫ ও রবি থেকে ৩ হাজার ১৯০ জন গ্রাহক।

বাংলালিংক থেকে টেলিটকে গেছে ৭১ জন, গ্রামীণফোনে ১ হাজার ৩৫২ জন, রবিতে ৭ হাজার ৪৯৩ জন। এই সময়ের মধ্যে বাংলালিংক ছাড়তে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে ৬ হাজার ৮৬১ গ্রাহক।

এমএনপি সেবা চালুর পর এ যাবৎ অন্য অপারেটর থেকে টেলিটকে এসেছে ৩৩৪ গ্রাহক। এর মধ্যে গ্রামীণফোন থেকে ১২৩, রবি থেকে ১৪০ এবং বাংলালিংক থেকে ৭১ জন। অন্যদিকে টেলিটক ছেড়ে গেছে ২৫২ গ্রাহক। এর মধ্যে গ্রামীণফোনে গেছে ৪৬ জন, রবিতে ১৬৫ ও বাংলালিংকে ৪১ জন। তবে টেলিটক ছাড়তে চেয়ে ২ হাজার ৫৯ গ্রাহক আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছে।