সবুজ নুহাশপল্লীতে হুমায়ূনকে স্মরণ

জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের আজ ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সবুজে ঘেরা স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানী, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই ছেলে নিশাত ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে যান। পরে তিনি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্তানদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেল, হুমায়ূনভক্ত ও নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ায় শরিক হন।

পরে হুমায়ুন আহমেদের দুই শিশু সন্তান নিশাত ও নিনিত তার বাবার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবরে হাত বুলিয়ে দেয়।

এর আগে সকাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা নুহাশপল্লীতে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।

সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে শত শত ভক্ত নুহাশপল্লীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তাদের অনেকেই তার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং প্রিয় লেখকের কবরে ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানান। সকালে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে আসেন বেশ কয়েকজন প্রকাশক ও নাট্য অভিনেতাও।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকে নুহাশপল্লীর আশপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি মাদরাসা ও এতিমখানার কয়েকশ শিক্ষার্থী নুহাশপল্লীতে বৃষ্টি বিলাস কটেজে কোরআন খতম করেন। দুপুরে মেহের আফরোজ শাওন নিজ হাতে এতিম শিশুদের খাবার পরিবেশন করেন।

কবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, হুমায়ুন আহমেদ সবুজ বৃক্ষ পছন্দ করতেন সেই সবুজ বৃক্ষে, বৃক্ষের ছায়ায় মাখামাখি হয়ে আছে হুমায়ুন আহমেদের নুহাশপল্লী।

তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা ছিল ক্যান্সার হাসপাতাল। সেটা আমার একার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। যারা এদেশের গুণীজন আছেন, নীতি নির্ধারকরা আছেন তাদের কাছে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা সবাই মিলে যদি একটু উদ্যোগ নেন তাহলে এটা খুব সহজেই করা সম্ভব। আমি আমার পক্ষ থেকে যতটুকু করার করব।