সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ : গণপূর্তমন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না- যিনি না খেয়ে আছেন অথবা বস্ত্রহীন অবস্থায় আছেন। বর্তমান সরকারের আমলে অর্থনৈতিক সূচকসহ সব দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শনিবার মানবাধিকার খবর পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে দেশের মানুষদের পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আপনি রাস্তায় চলতে ভয় পেতেন। এভাবে যারা মানবাধিকার খর্ব করেছিল তারা কারা? এক সময় দেশে রাজনীতির নামে পেট্রোল বোমা মেরে সারাদেশকে বার্ন ইউনিটে পরিণত করা হয়েছিল। আন্দোলনের নামে এভাবে সাধারণ নাগরিকের মানবাধিকার বারবার খর্ব হয়েছিল। সে জায়গা থেকে দেশ আজ উত্তরণ হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, কৃষকের অধিকার সব দিক থেকেই এগিয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি শান্তির স্বর্গে পরিণত হচ্ছে।’

শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে মানবাধিকার খর্ব করা হয়েছিল। তাদের বিচার করে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিশ্বজিৎ রায় নামে দর্জি দোকানের এক ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অনেকে বলেছিলেন, বিশ্বজিতের হত্যায় ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়িত, এর বিচার হবে না। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন অপরাধ যেই করবে তার কোনো দল নেই। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় অনেকে বলেছিলেন মন্ত্রীর জামাতা আছে, এমপির ভাগ্নি জামাই আছে কিছুই হবে না। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাদের বিচার হয়েছে তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রেকর্ড নেই দুর্নীতির দায়ে ক্ষমতাসীন দলের কোনো সংসদ সদস্য শাস্তি কারাদণ্ড হয়েছে। শেখ হাসিনা সেটাও প্রমাণ করেছেন যে আইন সবার জন্য সমান। অপরাধীর কোনো দায়মুক্তি নেই। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্মুন্নত করার বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা ইউরোপ কেউতো মিয়ানমারের অসহায় মানুষদের মানবাধিকার রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। বাংলাদেশের মানবাধিকার সমন্নুত করার জন্য বর্তমান সরকার যে কাজ করছে এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্য কেউ করেনি। মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ব্যথা কত সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন। তার মা-বাবা, ভাই-ভাবিসহ পরিবারের সবাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানেন মানবাধিকারটা কী। যে কারণে মানবাধিকারে সোচ্চার ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপরেও দীর্ঘদিনের যে জঞ্জাল, তা দূর করতে একটু সময় লাগবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চাই একজন নাগরিকেরও যে মানবাধিকার খর্ব না হয়।’

বাংলাদেশ মানবাধিকার খবরের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, মানবাধিকার খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক রিয়াজ উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান আবেদ খান, সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা বেগম প্রমুখ।