সব পাম্পে ব্যানার : হেলমেট ছাড়া আর মিলছে না তেল

বিশৃঙ্খল সড়ক, অতিষ্ঠ জনজীবন। সড়কে কান্না যেন থামছেই না। রক্তের দাগ না শুকাতেই ফের রক্ত। সড়কেই এখন লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চরম অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। সড়কে নেমে অব্যবস্থাপনাগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

এবার সড়কে নেমেছে প্রশাসনও। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শত কৌশল নিচ্ছে পুলিশ। রোজ নির্দেশনা আসছে। পুলিশও আন্তরিক আগের থেকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে হেলমেট ছাড়া তেলের পাম্পগুলো থেকে তেল না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। মঙ্গলবার দেয়া এমন নির্দেশনায় আজ হেলমেট ছাড়া বাইকচালকদের তেল দেয়া হচ্ছে না। শত অনুরোধেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা গেছে, পাম্পের পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহের মেশিনে টাঙানো লেমিনেটিং করা কাগজে লেখা আছে, ‘হেলমেট ব্যতীত মোটরসাইকেলে জ্বালানি ইস্যু করা হইবে না।’

তেজগাঁওয়ের তিব্বত মোড়ের সততা পাম্পে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানেও ব্যানার টাঙানো হয়েছে। পাম্পের কাউন্টার ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল দুজন এসে বলে গেছেন, হেলমেট ছাড়া তেল না দিতে। আমরা তেল ডেলিভারিম্যানদের বলে দিয়েছি, পুলিশের নজরদারি রয়েছে, তারা যেন কোনোভাবেই হেলমেটবিহীন কাউকে তেল সরবরাহ না করেন।

‘তবে সকাল থেকে হেলমেটবিহীন মাত্র তিন-চারজনকে আমরা ফিরিয়ে দিয়েছে। বাকিদের সবার হেলমেট ছিল’- যোগ করেন তিনি।

রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড সড়কে সিটিজেন সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা মেলে একই চিত্র। হেলমেট পরে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে পেট্রোল নিচ্ছেন।

রাইডার আরিফ তন্ময় বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন বাঁচানোর জন্যই হেলমেটের ব্যবহার। যেটি আমাদের নিজেদেরই নেয়ার কথা সেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমরা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আগামীতে যেন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেউ যানবাহনে তেল নিতে না পারে সেই ব্যবস্থাও করা উচিৎ।’

মঙ্গলবার মাসব্যাপী ট্রাফিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার হেলমেট ছাড়া রাইডারদের তেল সরবরাহ না করতে পাম্পমালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।