সব সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমে

এখন থেকে সব সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। যেখানে উপজেলা পরিষদ বা ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে, ভৌগোলিক কিছু বিচ্ছিন্নতা আছে, কম্প্যাক্ট এরিয়া নয়, যেগুলোতে বিদ্যুৎ আছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেসব উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ বেছে বেছে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতভাগ না হলেও অর্ধেক আসনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বুধবার বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। এর আগে ৪৮তম কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ইসি সচিব বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুরোটা না হলেও অর্ধেক আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ করেছি। এগুলো তো সংগ্রহ করে রাখার জন্য নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগেই এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এই প্রকল্পটা গ্রহণ করা হয়।

সরকার বলেছে যে, সব জায়গায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনও এটা ব্যবহারের পক্ষে। এতগুলো ইভিএম কেন আমরা ব্যবহার করবো না। প্রকল্প যখন আমরা নিয়েছি, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিএমটিএফ এই মেশিনগুলো আমাদের সাপ্লাই করেছে। এতগুলো লোককে আমরা প্রশিক্ষিত করেছি, আমাদের প্রত্যেকটি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়, এটা আমাদের পরিকল্পনায় আছে। এজন্য অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার দরকার আছে।

যেকোনো নির্বাচনে আমরা এটা ব্যবহার করব। প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কয়েকটি বিষয় আসে, সেটি হলো দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়, বাংলাদেশে প্রচলিত যে অনিয়মগুলো হয়, সেটা আর হবে না, ভোটারদের আস্থাটা বাড়বে, ব্যালট পেপারের কাগজ সাশ্রয় হবে। কালকে থেকে ভারতে যে লোকসভা নির্বাচন হবে। মাসব্যাপী এ নির্বাচন হবে। তারা সব নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করবে- যোগ করেন ইসি সচিব।

তিনি বলেন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনসহ যেসব জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে সেসব জায়গায় ট্যাব ব্যবহার করা হবে।

এখন থেকে যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আমরা বিটিআরসিকে অনুরোধ করবো ওইসব এলাকায় যেনো ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে দেয়া হয়।