‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা থাকবে না’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে একজন পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না এবং সামরিক বাহিনী ও পুলিশ ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা থাকবে না। এমন ১৪টি প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিশ্রুতিসহ ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ইশতেহারে বলা হয়, নির্বাচনে জিতলে সব নাগরিকের কল্যাণে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে পরিবর্তন আনা হবে। পরিবর্তন আসবে বিদুৎ ও জ্বালানি, প্রবাসীকল্যাণ, নিরাপদ সড়ক ও পরিবহন, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, পররাষ্ট্রনীতি ও জলবায়ু মোকাবেলা নীতিতেও।

বিএনপি-গণফোরাম-জেএসডি-নাগরিক ঐক্য-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তারা ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজা কিবরিয়া প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো হলো:

১. জাতীয় ঐক্যগড়া

২. প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা

৩. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান।

৪. নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি।

৫. পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না।

৬. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে।

৭. প্রথম বছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না।

৮. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।

৯. দেশের সব নাগরিককে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে।

১০. পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়স সীমা থাকবে না। সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা থাকবে না।

১১. সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা হবে।

১২. বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড ও গুম পুরোপুরি বন্ধ করা হবে।

১৩. পিএসসি-জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হবে।

১৪. অর্থপাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা হবে।