‘সরকারি দল মিছিল করলে হালাল আর বিএনপি করলে হারাম’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাকে আটকে রাখার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু সেটি সফল হবে না। তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে আসবেন। তার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জনগণের সরকার গঠন করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সপ্তম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এনডিপির মনজুর হোসেন ঈসা, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

সভা-সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীনরা জনসভা করলে কোনো দোষ হবে না। কিন্তু বিএনপি করতে চাইলে সেটা দেয়া হবে না। কারণটা কী? একটাই কারণ, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেও ক্ষমতাসীন দল ভরসা পাচ্ছেন না। মনে করছেন তারা যে সভা করেছেন বিএনপির সভা হয়তো তার চেয়েও বড় হয়ে যাবে। তখন মানুষ বলবে- এই সর্বনাশ।’

দেশে আইনের দুই রকম প্রয়োগ হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকারি দল রাস্তা বন্ধ করে মিটিং-মিছিল করলে তা হালাল। আর বিএনপি ফুটপাতে দাড়িয়ে মিছিল-মিটিং করতে গেলেও তা হারাম। এসব গণতন্ত্র না।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে সড়ক বা সেতু নির্মাণে যে অর্থ খরচ হয় দুনিয়ার কোথাও এত খরচ হয় না। সোনা-রুপা না দিলে তো এত টাকা খরচ হওয়ার কথা না।’ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের ব্যাংকঋণ মওকুফেরও সমালোচনা করেন নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কোথায় যাচ্ছে এসব টাকা। শোনা যায় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে সেকেন্ড হোম হচ্ছে। কানাডায় বেগমপাড়া হচ্ছে। সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারীদের জামানত বাড়ছে। এই যে শোনা যায় এই মানুষগুলো কারা?