সাগর-রুনি হত্যা : ৭ বছরেও কোনো কূল কিনারা নেই

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ৭ বছর আজ। এই মামলায় যে আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল, তার মধ্যে দু’জন জামিনে বেরিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ঠিক করেছেন আদালত।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‌্যাব এখন মামলাটি তদন্ত করছে।

তবে হত্যাকাণ্ডের ৭ বছরেও আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্তের কোন কূল কিনারা করতে পারেনি তারা। একের পর এক তারিখ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পেছানো হয়েছে ৫৪ বার। তাই এ হত্যার সুবিচার পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েই চলেছে স্বজন ও সহকর্মী সাংবাদিকদের মধ্যে।

এরই মাঝে রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান বলেছিলেন, ‘সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছি। যদি কখনো বিচার সম্ভব হয় সেটি হবে অলৌকিকভাবে। কারণ হ্ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রভাবশালী কেউ জড়িত রয়েছে, আর না হয় তদন্তকারী সংস্থার ব্যর্থতা রয়েছে।’

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখন পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। আর এ কারণেই মামলা নিস্পত্তি করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনির মামলাটি বর্তমানে র‌্যাব দেখছে, আশা করি খুব দ্রুতই রহস্য উদঘাটন হবে।’

তবে সাংবাদিকসহ সাগর-রুনির কাছের মানুষেরা হতাশার মাঝেও এখনো অপেক্ষায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার বিচার দেখার।