সাজাপ্রাপ্তরা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না : আপিল বিভাগ

বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা কিংবা দণ্ডর মেয়াদ দুই বছরের বেশি হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আর সাবিরা সুলতানার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ বি এম বায়েজিদ ও খুরশীদ আলম খান।

গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করেন বিচারপতি মোহাম্মদ রইচ উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

পরে সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, বিচারিক আদালতের দেওয়া সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান তারা হাইকোর্টে সাজা বা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

এর আগেও ২৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতে কোনও ব্যক্তি ২ বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ফলে বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) দণ্ড স্থগিত করা হলে কিংবা আপিল চলাকালে কোনও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত কিংবা বাতিল হলে ওই ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নিতে কোনও বাধা থাকবে না বলা হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।