সাতক্ষীরায় আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় আটকের পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার বাঁশদহার কয়ারবিল এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আবদুল গনির ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও কলারোয়ার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ জানান, বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহাবাজার থেকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। এর ভিত্তিতে তাদের নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।

বাঁশদহার কয়ারবিল এলাকায় পৌঁছতেই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে অন্যরা চলে গেলে ওই দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও কিছু মাদকসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য এসআই রিয়াদুল, এসআই সুমন, এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।