সাত দিন পরও দ্বার খোলেনি বাংলাদেশ ভবনের

কলকাতা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পরও শান্তিনিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবন’ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। শান্তিনিকেতন এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস কর্তৃপক্ষও কবে নাগাদ ওই ভবন খুলে দেওয়া হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি। গত ২৫ মে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভারতের বুকে বাংলাদেশের গর্বের এই স্থাপনার উদ্বোধন করেন।

এদিকে শান্তিনিকেতনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশসহ বিদেশি শিক্ষার্থীরা যেমন ভবনে প্রবেশ করে জ্ঞান আরোহণে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন, অন্যদিকে শান্তিনিকেতনে যাওয়া দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক প্রতিদিন বাংলাদেশ ভবনের সামনে গিয়ে ভবনে ঢুকতে না পেরে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) টেলিফোনে এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজকলি সেন জানিয়েছেন, ‘কবে খুলে দিতে পারব সেটা তো পাওয়ার পর বুঝতে পারব আমরা। কেননা এখনো আমরা জিনিসপত্রের তালিকাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ভবনের দায়িত্ব বুঝে পায়নি।’

এমনকি কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের হেড অব চ্যান্সারি বিএম জামাল বলেন, ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ এখন ‘বাংলাদেশ ভবন’। সুতরাং তারাই খুলে দেওয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবে।’

তবে বাংলাদেশ সরকার ভবনের অভ্যন্তরে জাদুঘর এবং লাইব্রেরি নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘লাইব্রেরি ও জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক কোন পক্ষ নিয়োগ করবে সেটা এখনো ঠিক হয়নি।’

এদিকে এ বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শান্তিনিকেতনের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, ‘পুরো বাংলাদেশ ভবনের দায়িত্ব বিশ্বভারতীকে না দিয়ে জাদুঘর ও লাইব্রেরির দুটি শাখার দায়িত্ব তারা নিজেদের হাতে রাখতেই আগ্রহী।’

বাংলাদেশ সরকারের অর্থ এবং ভারত সরকারের জমি- এই দুই সরকারের উদ্যোগেই শান্তিনিকেতনে প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর ১৮ মাসে নির্মিত হয় ৪ হাজার ১০০ বর্গ মিটারের ‘বাংলাদেশ ভবন’।