সাবরেজিস্ট্রি অফিসে মাদকের আস্তানা!

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবনের আস্তানা বসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাকদসেবীদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার এক প্রভাবশালীর ভাগনের নিয়ন্ত্রণে এখানে গড়ে উঠেছে মাদকের আস্তানা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতায় এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ তাদের।

সূত্র জানায়, সন্ধ্যা নামলেই লাহিড়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিস চত্বরটি হয়ে উঠে মাদকসেবীদের নেশাখানায়। নেশার টানে দূরদূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসে অসংখ্য তরুণ-যুবক। কারণ এখানে এসে সহজেই পেয়ে যায় ফেনসিডিল ও মাদকদ্রব্যসহ সব উপকরণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহর থেকে সাবরেজিস্ট্রি অফিসটির দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদকদ্রব্য। প্রতি রাতের অবস্থাদৃশ্যে মনে হয় এটি সাবরেজিস্ট্রি অফিস নয়, যেন ফেনসিডিলের আখড়া।

লাহিড়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাবরেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মাদকসেবী ও বখাটেরা এতটাই বেপরোয়া যে তিনি তাদের হাতে গত ৩০ জানুয়ারি অফিস সময়ে হামলার শিকার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ওই গ্রুপের সদস্য লিপটনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী চাঁদার দাবিতে অফিসে হামলা করেছিল। চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে। প্রতিবাদ করলে অফিসের ৩ জন কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

দলিল লেখক সমিতির নেতা বিনোদ বিহারী সিং এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনিও কয়েক মাস আগে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন।

চাড়োল ইউপির চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জি বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বালিয়াডাঙ্গী থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোস্তাফিজার বলেন, আসামিদের মধ্যে লিফটনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে লাহিড়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে ফেনসিডিল সম্পর্কে তিনি অবগত নন।