সাভারে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫, বিজিবি মোতায়েন

সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো সাভার এবং আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। এ সময় পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে সাভারের হেমায়েতপুর ও আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানার সামনে পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

শ্রমিকরা জানান, সকালে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাভারের উলাইল ও আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এ বিক্ষোভে বাধা দেয়।

এতে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের ওপর দফায় দফায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়ায় সকাল থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

শিল্প পুলিশ-১-এর পরিচালক সানা শামীনুর রহমান জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকাল ৯টা থেকে বাইপাইল আবদুল্লাহপুর মহাসড়কের এশিয়া এবং সাভারের হেমায়েতপুরের নরসিংহপুর এলাকা প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাভার ও আশুলিয়ায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কারখানাগুলোর সামনে পুলিশের জলকামানসহ সাঁজোয়া যান রয়েছে।

এদিকে শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে আশুলিয়ায় চারাবাগ এলাকার মেট্রো ও নিউ এশিয়া এবং সাভারের স্ট্যান্ডার্ট গ্রুপের সামস স্টাইলওয়্যার লিমিটেডসহ তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিপক্ষ।

পোশাক কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সংঘর্ষে উলাইল এলাকার আনলিমা টেক্সটাইলের সুমন নামে এক শ্রমিক নিহত হন। এর জের ধরে আজ বুধবারও ওই পোশাক কারখানাটি একদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।