সামনে আরও বিপদ, নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেন ফখরুল

এগার বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের সামনে আরও কঠিন সময় আসছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আমাদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। সামনে আরও বিপদ আসবে। এর মধ্যেই ভবিষ্যতে আমাদেরকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক শহীদ জেহাদ দিবস’ ১৭ এবং ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের ২৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ নামের একটি সংগঠন।

৯০ এর চেতনাকে পুঁজি করে আমাদেরকে সামনের দিকে আগাতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার কোমরে যদি জোর না থাকে, পায়ে যদি জোর না থাকে তাহলে আমরা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারব না। কেউ এসে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেবে না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। আমাদেরকেই অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সমস্যা চিহিৃত করে আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। তরুণ সমাজকে একত্র করে সেই লক্ষ্যে আমাদেরকে পৌঁছাতে হবে।

সরকার কারসাজি করে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছে এমন দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত দুঃসময় পার করছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত দুঃসময় আর কখনো আসেনি। আমাদের যা অর্জন চোখের সামনে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই হায়েনারা। সর্বশেষ বিচার বিভাগ। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর সেটাকে ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছ এই সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ষড়যন্ত্র করে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির দোষ একটাই, তিনি আইনের শাসনের কথা বলেছেন, ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে কথা বলেছেন।’

আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ওরা জানে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে মানুষ নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারলে কখনো তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারবে না। এজন্য তারা ড্রিবলিং করে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের আছেটা কী? বাংলাদেশের মানুষের গর্ব করার মতো আছে একটা স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন। কিন্তু এই সরকার সেটাকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। ১৯৭৫ সালেও তারা এটা করেছে। মোড়কটা ভিন্ন কিন্তু এখন আবার ভিন্ন কায়দায় বাকশাল কায়েম করতে চায়।’ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ডাকসুর এজিএস ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলমের পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।