সার্বজনীন পেনশনের কাজ অর্থবছরের শুরুতেই

আগামী জুলাই থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের শুরুতেই বেসরকারি চাকুরেদের জন্য পেনশন সুবিধার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অর্থসচিব মুসলিম চৌধুরী। তবে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার বিকালে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে এ কথা জানান সচিব।

এখন পর্যন্ত অবসরকালীন পেনশন সুবিধা সরকারি চাকুরেদের জন্যই সংরক্ষিত। বেসরকারি খাতে কোথাও কোথাও ভবিষ্যৎ তহবিল (প্রভিডেন্ড ফান্ড) এবং গ্র্যাচুইটি সুবিধা থাকলেও পেনশনের বিষয়টি নেই। ফলে বেসরকারি চাকুরেদের শেষ বয়সে অনিশ্চয়তায় থাকতে হয়। আর অর্থমন্ত্রী এই অনিশ্চয়তা দূর করতে উন্নত দেশের আদলে অবসরকালীন এই সুবিধা চালুর পক্ষে।

বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি চাকুরেদের জন্য পেনশন চালুর রূপরেখা দেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের বাজেট পেশের সময়ও তিনি এই পেনশন চালুর বিষয়ে কথা বলেছিলেন। আগামী অর্থবছরের বাজেটেই এ বিষয়ে রূপরেখা দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী সেদিন জানান, ‘প্রস্তাবিত ব্যবস্থার আওতায় সরকার পরিচালিত স্কিমে নিবন্ধন করে একজন কর্মজীবী মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা জমা দেবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষও নির্দিষ্ট অংক কর্মজীবীর পেনশন হিসাবে জমা দেবে।’

এ ক্ষেত্রে হতদরিদ্র শ্রমজীবীদের ক্ষেত্রে তাদের অংশের অতিরিক্ত হিসেবে সরকার পূর্ব ঘোষণা হিসাবেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ হিসাবে জমা দেবে। এ তহবিল হতে প্রাপ্ত আয় সার্বজনীন তহবিলে জমা হবে।

জুলাই থেকেই ‘স্কিম’ চালুর কথা জানিয়ে মুহিত আরও বলেন, ‘অন্ততপক্ষে কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় পরীক্ষামূলক উদ্যোগ হিসাবে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার ইচ্ছা রয়েছে।’

বাজেট ঘোষণার পরদিন অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। যদিও এই সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন রাখেননি কোনো সাংবাদিক। তারপরও শেষ পর্যায়ে বিষয়টি তুলেন অর্থসচিব।

মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘ফ্রেমওয়ার্ক (সার্বজনীন পেনশন) শুরু হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরে আমরা কাজ করব।’

‘অর্থমন্ত্রী এখানে একটা কমিটমেন্টন দিয়েছেন, আমরা এটা নিয়ে আগামী অর্থবছরে কাজ করব।’

তবে পুরোপুরি চালু হতে আরও সময় লাগবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী একটা কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) দিয়েছেন। এখানে বিভিন্ন সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, পলিসি ডকুমেন্ট তৈরি করতে হবে। ফান্ডের জন্য ফিনান্সিয়াল সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ‘

‘এ সার্বজনীন পেনশন স্কিম, এটা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী। আমরা এটা আশা করতে পারি না যে এটা পরবর্তী বছরেই হয়ে যাবে।’