সিনহা রাজাকার, দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর : বিচারপতি মানিক

সুনির্দিষ্ট ১১টি দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তদন্তের মাধ্যমে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন মানিক।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তিনি এ দাবি জানান।

শামসুদ্দিন মানিক বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা ১১ অভিযোগেরই সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টে এখন সবাই বলাবলি করছে যে তিনি একজন দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর ব্যক্তি ছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি ছাড়া সবার বিচার করা যাবে। তাই আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া অথবা কানাডা, যেই দেশেই থাকুন না কেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তদন্তের মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।

শামসুদ্দিন মানিক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা ১১টি অভিযোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, প্রধান বিচারপতির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি টাকা এবং ট্যাক্স রিটার্ন নিয়ে করা প্রতারণার বিষয়টি টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। নিম্ন আদালতের বিচারপতিদের পদোন্নতির জন্য তিনি যে ঘুষ গ্রহণ করেছেন তাও গণমাধ্যমে এসেছে। এছাড়া সিঙ্গাপুর, কানাডা ও অস্ট্রিলিয়ায় তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা এবং দেশীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিচারের রায়ের জন্য নেওয়া ৬০ কোটি টাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

১৯৭১ সালে এসকে সিনহার শান্তি কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উল্লেখ করে আপিল বিভাগের সাবেক এ বিচারপতি বলেন, প্রধান বিচারপতি আদালতে একদিন নিজেই বলেছিলেন, তিনি ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর জন্য কাজ করেছেন। যে ব্যক্তি ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তার কাছ থেকে আর ভালো কিছু কী আশা করা যায়? তিনি শুরু থেকেই খারাপ ছিলেন। এখনও খারপই রয়ে গেছেন।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে তদন্তের মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করে প্রমাণ করতে হবে- আইনের চোখ সবার জন্য সমান। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় যোগ করেন মানিক।

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়, যুগ্ম সম্পাদক সাজেদা হক প্রমুখ।