সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার সনদ ছাড়া গ্যাস পাবে না গাড়ি

সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার সনদ ছাড়া গ্যাস পাবে না সিএনজি চালিত গাড়িগুলো। জুলাই মাস থেকে পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে এ পদক্ষেপ। সারা দেশে বৈধ ও অবৈধ লাখ লাখ যানে সিএনজি ব্যবহৃত হয়। সিলিন্ডার রিটেস্ট না করায় চলন্ত বোমায় পরিণত হয় এ গাড়িগুলো। তদারকি বাড়লে তবেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।

২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত প্রায় পাঁচ লাখ চার হাজার ৩০০ গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। ১৯ বছরে পুন:পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র বিরানব্বই হাজার সিলিন্ডার।

গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডারগুলোর ভেতরের দিক সম্প্রসারিত হয়, যা খালি অবস্থায় আবার সংকুচিত হয়ে যায়। এভাবে ধাতব অংশের চাপ নেয়ার ক্ষমতা কমতে থাকায় সিলিন্ডারের মেয়াদ ধরা হয় ১৫ বছর।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরণের সিলিন্ডারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।

নিবন্ধিত গাড়ি বছরে একবার বিআরটিএতে আসতে বাধ্য হওয়ায় এগুলোর সিলিন্ডারের মেয়াদ সহজেই শনাক্ত করা যায়। তবে অবৈধ ও প্রত্যন্ত এলাকায় চলাচল করা গাড়িগুলো থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেবল ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নেয়ার সময় এগুলোকে শনাক্ত সম্ভব। তাই, বিস্ফোরক পরিদপ্তর সারা দেশের ৬০০ টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে।

প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক এম. শামসুল আলম বলেন, আমরা আশা করছি টেস্ট সম্পূর্ণরূপে করা সম্ভব হবে।

পাঁচ বছর পর পর সিলিন্ডার রি-টেস্ট করার বিধান থাকলেও অনেক ব্যবহারকারী বিষয়টি এড়িয়ে যান। সারাদেশে ৩২ টি রিটেস্ট বা পুন:পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে বড় কয়েকটি বাদে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতির সক্ষমতা ও পরীক্ষার মানের ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। তাই, নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সনদ গ্রহণ করার পরামর্শ নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আলী বিশ্বাস বলেন, মনিটরিংয়ে আরও বেশি জোর দিলে এটা আরও বেশি সম্ভব।

মান ও সনদের সত্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে সবগুলো গাড়িতে একই রকম স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা নিয়েছে আরপিজিসিএল। সংস্থাটির মতে, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি পরিবহন মালিক ও ব্যবহারকারীর সচেতনতা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।