সিলেটে পাহাড়ি ঢল, প্লাবিত ৪০ গ্রাম

সিলেটে পাহাড়ি ঢলে নদী ও হাওরের পানি বেড়ে গিয়ে শনিবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রাম। এ ছাড়া জেলার বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের হিসাবে, ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলায় ৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে ৮৯টি পরিবারকে আবাসন–সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এসব পরিবারকে খাদ্য, চিকিৎসাসহ সব ধরনের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয় ব্যক্তিদের মতে, জেলায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ হবে।

বন্যাদুর্গত লোকজন বলেন, জেলায় অর্ধশতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ঈদের ছুটির পর শনিবার থেকে বিদ্যালয় চালু হওয়ার কথা থাকলেও বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান হয়নি। সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। আজ সন্ধ্যা সাতটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল।

শনিবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যাপ্লাবিত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নদীতীরবর্তী এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে বেশি। বন্যার্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২৭ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে এ সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।