সীমান্তে ৭ হাজার রোহিঙ্গাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রাখাইনের মধ্য অঞ্চলে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ায় সেখান থেকে আতংকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশের সীমান্তে জড়ো হয়েছে। সীমান্তের সূত্রগুলো জানিয়েছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা সীমান্তের কাছে প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গাদের গত দুদিন থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া তুমব্রু সীমান্তের কাছে আরো কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে আছে সেনাবাহিনীর হাতে। তাদেরকে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

তবে হঠাৎ কী কারনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নতুন করে এ ধরণের বর্বরতা শুরু করল তা স্পষ্ট নয়।

ঘুনধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ জানিয়েছেন, ২৪ আগষ্টের সহিংসতার পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে ৬০ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। পরে এদের অধিকাংশকেই উখিয়ায় কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে সরিয়ে নেয়া হয়। এখনো তুমব্রু এলাকার জিরো লাইনে প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা রয়ে গেছে। তাদেরও সরিয়ে নেয়া হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা বড় ছনখোলা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের রোহিঙ্গা মোঃ আমির হামজা জানান, সীমান্তের ৩ কিলোমিটার দুরে জিংলা তলি এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে আটক করে রেখেছে। সেখানে একটি স্কুল ঘরের আশেপাশে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে মিয়ানমারের সেনারা।

রোহিঙ্গা সালামত উল্লাহ্ জানান, বর্তমানে রাখাইনের সব চেয়ে দূরবর্তী রাথিডং, বুচিডং এলাকা থেকে রোহিঙ্গারা আতংকে চলে আসছে। ষেখানে নির্যাতন কিছুটা কমে আসলেও যেকোনো ফের বড় ধরনের নির্যাতন নেমে আসতে পারে। ফলে দূরের এলাকাগুলোতে রোহিঙ্গারা থাকতে সাহস পাচ্ছে না। অনেক রোহিঙ্গাই এখন পায়ে হেঁটে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য জড় হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার কামাল জানান, বান্দরবান সীমান্তে কোনো রোহিঙ্গাকে রাখা হবে না। ইতিমধ্যে উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিদেরও খুব শিগগিরই সরিয়ে নেয়া হবে। উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের ঘর তৈরীর কাজ চলছে। নির্মাণ সম্পন্ন হলেই বড় ছনখোলা, সাপ মাড়া ঝিড়ি ফুলতলি ও তুমব্রু এলাকার রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হবে। তবে সীমান্ত দিয়ে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যায়নি।