সুদানে সেনাদের নির্বিচার গুলি, নিহত বেড়ে ১০৮

বিক্ষোভকারীদের দমনে সুদানে সরকারি বাহিনীর অভিযানে নিহত বেড়ে ১০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার সুদানের কেন্দ্রীয় চিকিৎসক কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

কমিটি জানায়, এদের মধ্যে একই পরিবারের তিন শিশু রয়েছে। আর ২৩০ জনের বেশি মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে কমিটি বলেছে, এখন পর্যন্ত ১০৮ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নীল নদে আরও দেহ ভাসতে দেখা গেছে। দেশটির র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।

সিভিল এভিয়েশন অথিরিটিতে কর্মরত এক ব্যক্তি বিক্ষোভ থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আরএফএফ গুলি করে হত্যা করে বলেও কমিটি দাবি করেছে।

গত ৩ জুন ভোর থেকে সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। জনতার দাবির মুখে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে সরিয়ে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী।

কিন্তু, তারা দুই বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দিলে সেদিন থেকেই সেনাবাহিনীর সদরদফতরের সামনে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ করে আসছেন।

তবে আরএসএফ নেতা ও ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল মিলিটারি কাউন্সিলের (টিএমসি) চেয়ারম্যান লে. জেনারেল মোহাম্মদ হামদান হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি দাবি করেন, অজ্ঞাতরা আরএসএফের পোশাক পরে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

গত ১১ এপ্রিল ৩০ বছরের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরকে সরিয়ে সুদানের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পরে তারা দুই বছরের জন্য দেশটির ক্ষমতা রাখবে এবং এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।

কিন্তু, দেশটির মানুষেরা সেনাবাহিনী এই দখলদারিত্ব মেনে নিতে নারাজ। তারা দ্রুত বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতার ভার দিতে আন্দোলন করে আসছেন।