সুবর্ণচরে ধর্ষণ : প্রধান আসামি আ.লীগ কর্মী গ্রেফতার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চার সন্তানের জননীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল তিন জনে। গতকাল কুমিল্লার বড়ুয়া উপজেলার মহেশপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি মো. সোহলকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার হন মামলার আরও দুই আসামি। তারা হলেন স্বপন ও বাদশা আলম প্রকাশ বাসু। বাকি ছয় আসামি এখনো পলাতক।

নোয়াখালী ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন জানান, বুধবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে কুমিল্লার বড়ুয়া উপজেলার মহেশপুর এলাকার একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ।

রবিবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর রাত ১২টার দিকে ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তার স্বামীকে মারধর ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। গ্রেপ্তার তিন জন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন হানিফ, চৌধুরী, মোশাররফ, সালাহউদ্দিন, আবুল ও বেচু।

ঘটনাটি প্রকাশ হলে ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি পরে করা মামলায় বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগী নারী এখন নোয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ বলেছেন, তারা সব আমামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করবেন। তার দাবি, ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক জানিয়েছেন, এই ঘটনাটির তদন্ত করবেন তারা। এরই মধ্যে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে।