‘সুযোগ দে, নইলে ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবো’

‘সুযোগ দে, নইলে ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবো’ এমনি ভাবে ১১ বছরের শিশুটিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছিল এলাকার প্রভাবশালী ষাটোর্ধ ব্যক্তিটি। অবশেষে এবার তাকে থামিয়ে দিয়েছে থানা পুলিশ!

ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায়। শিশুটির পরিবার থানায় মামলা করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত রহমান দেওয়ানকে।

গত তিন-চার মাস আগে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি রহমান দেওয়ান ফোন নম্বর নেয়ার কথা বলে সু-কৌশলে নিজ বাসায় ডেকে নেয় প্রতিবেশীর ১১ বছরের কন্যা শিশুকে। পরে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাকে, ভিডিও ধারণ করা হয় মোবাইলে। এমন অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের।

নির্যাতিতার পরিবার বলে, মেয়েটাকে ডেকে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে ও সেই ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। এরপর তিনি ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করে।

এখানেই শেষ নয়। এরপর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে রহমান দেওয়ান মেয়েটিকে কয়েকদফা ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে গেলে ঘটনা জেনে যায় পরিবার।

নির্যাতিতার মা বলেন, আত্মহত্যা করতে গেলে আমি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করি যে কী হয়েছে। তখন সে কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বলে, রহমান দেওয়ান আমাকে ধর্ষণ করেছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) মামলা করে নির্যাতিতার স্বজনরা। আর এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রচার না করার শর্তে অভিযুক্তের লোকজন ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে সাংবাদিকদের।

পরে অভিযুক্তের সন্তান ও স্ত্রী দাবি করেন ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে রহমান দেওয়ানকে। অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন, আমাদের ভালো সহ্য করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।

শিশুটি নিজের মুখেই এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে বলে জানিয়ে ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সী ছাব্বির আহমেদ বলেন, মেয়েটি নিজের মুখেই ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। আমরা রহমান দেওয়ানকে গ্রেফতার করেছি। অভিযোগ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।