সুলতান মনসুরের পর এবার শপথ নিচ্ছেন মোকাব্বির

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানও শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার বিকালে তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের কলেজ রোডের একটি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর যুগান্তরের।

সিলেট-২ আসনে সূর্য প্রতীক নিয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান বলেন, আমার দল শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের জনগণ যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তারা যদি চায় তাহলে আপনি শপথ গ্রহণ করে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। তাই আমি জাতীয় সংসদে এই আসনের জনগণের কথা বলতে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি সংসদে গিয়ে প্রথমেই অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দাবি উপস্থাপন করবো। পাশাপাশি নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর নিখোজের ব্যাপারেও একটি তদন্ত কমিটি ঘটনের দাবি রাখবো।

ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনার নিষেধ অমান্য করে ওই জনসভায় অনেক বিএনপি নেতারাও উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন।

বৃষ্টির জন্য বক্তব্য শেষ করতে না পারায় সংসদ সদস্য ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান শপথের ব্যাপারে উপস্থিত জনসাধারণের মতামত নিয়ে বক্তব্য সমাপ্তি করেন।

পরে মোবাইল ফোনে জানান, জাতীয় সংসদের স্পিকার সময় দিলেই তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। এতে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই।

উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আজিজের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আবদাল মিয়া, লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তাহিদ মিয়া, অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম রুহেল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হিরণ মিয়া, শ্রমিকদল নেতা আনছার আলী ও কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আখতার হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মনসুর শপথ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন। গণফোরাম সুলতান মনসুরকে দল থেকে বহিষ্কার করে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সব ধরনের কমিটি থেকেও তাকে বাদ দেয়া হয়। গত নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন। এর পর ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে তিনি জোটের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হন।

এই ফ্রন্টের মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের যে আটজন জয়ী হন, তাদের মধ্যে সুলতান মনসুর একজন। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন করে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেন সুলতান মনসুর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, দল ও জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে একাদশ সংসদের এমপি হিসেবে শপথগ্রহণ করায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।