সুস্থ থাকতে মাংসের বদলে খেতে পারেন মাশরুম

শরীর সুস্থ রাখতে ভারী ব্রেকফাস্টের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই মেনুতে যদি মাশরুম থাকে তবে তো কথাই নেই।

অনেক ক্ষেত্রে মাংসের বদলেও মাশরুম রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ক্ষুধা মেটানো থেকে শুরু করে একাধিক ফল মিলবে হাতেনাতেই।

সম্প্রতি এক জার্নালে এ নিয়ে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা কম নয়। বরং অন্যান্য খাবারের থেকে বেশি। এখন মাশরুম যে উপকারী তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

সমীক্ষা অনুযায়ী, কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাংসের বদলে মাশরুম বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। এমনকী খাবারের তালিকায় মাংসের পরিবর্তে বদল করে মাশরুম রাখলেও খুব ক্ষতি হবে না। তাতে পুষ্টিগত ফলও মিলবে, অন্যদিকে খাওয়ায় পূর্ণতা বা তৃপ্তির ভাবও আসে বেশি।

ফলে বারবার খেয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি ওর্জন না করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাতেই আদতে লাভবান হয়ে ওঠা যায়। তাই ব্রেকফাস্টে মাশরুম যুক্ত খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন ডায়েটিশিয়ানরা।

খাওয়ায় পূর্ণতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় প্রোটিন। মাংস খেয়ে এই পূর্ণতা কতটা আসে, আর কতটা মাশরুম খেয়ে, তা নিয়েই চালানো হয়েছিল সমীক্ষা। খাদ্যে পাওয়া প্রোটিনের নিরিখে মাংস ও মাশরুম তুল্যমূল্য একই জায়গায়। তাই এই দুটি খাবারকেই বেছে নেওযা হয়। বেশ কয়েকজনকের দশ দিনের খাদ্যাভাসের সমীক্ষা করা হয়।

এক শ্রেণিকে দেওয়া মাশরুম যুক্ত ব্রেকফাস্ট। অন্যদের দেওয়া হয় মাশরুম যুক্ত খাবার। প্রোটিন গ্রহণের হিসাবের দিক দিয়ে দুটো ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও ফারাক থাকার কথা নয়। কিন্তু কার্যত দেখা যায়, বেশ ভালই পার্থক্য দেখা দিচ্ছে। দিন দশ পরে মাশরুম যুক্ত ব্রেকফাস্ট যাঁরা খেয়েছেন, তাদের থেকেই ভাল রিপোর্ট পাওয়া গেছে। পূর্ণতার বা তৃপ্তিতে তারাই এগিয়ে। মাশরুম যুক্ত ব্রেকফাস্ট খাওয়ায় ক্ষুধা তো মিটেইছে। অন্যদিকে তৃপ্তিও বেশি। এই সমীক্ষা থেকেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অনেক খাবারের ক্ষেত্রেই মাংসের বদলে মাশরুম রাখা যেতে পারে।