সেই নাঈমের জন্য ৫ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে নাঈম নামের একটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ছবিতে দেখা যায়, আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত একটি পাইপের ফাটা অংশ দুই হাত ও পায়ের সাহায্যে পলিথিন পেঁচিয়ে চেপে ধরে আছে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ওই ছেলে এখন বীর বনে গেছে।

এবার এই ‘বীর শিশু’ নাঈমকে ৫ হাজার ডলার পুরস্কার ও তার পড়াশোনার খরচ বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার বাদেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওমর ফারুক সামি। তিনি সিলেটের মদন মোহন কলেজ থেকে ইন্টার ও লিডিং ইউনির্ভাসিটি থেকে বিবিএ করে আমেরিকার বুস্টন যান। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুরস্কার ঘোষণাকারী সিলেটের যুবক ওমর ফারুক সামি জানান, আমি নাঈমের কাজে খুশি হয়ে এই পুরস্কার দিচ্ছি। এই ছোট্ট শিশু মানবিকতার যে উদারণ সৃষ্টি করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

তিনি বলেন, আমি জেনেছি নাঈম খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। সে পুলিশ অফিসার হতে চায়। তার ইচ্ছাপূরণ করতে আজ থেকে নাঈমের পড়ালেখার দায়িত্ব নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে তার উপহারের পাঁচ হাজার ডলারও প্রদান করব।’ এই বিষয়ে নাঈমের পরিবারের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলাপ হয়েছে বলেও জানান সামি।

উল্লেখ্য, শিশু নাঈম ইসলাম কড়াইল বস্তি এলাকার বৌ বাজারের রুহুল আমীনের ছেলে। বৌ বাজারের আনন্দ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাইম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাইপের লিকেজে পলিথিন পেঁচিয়ে ধরে বসেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। প্রশংসায় ভাসছে সে। এই ছবির সূত্র ধরেই সামি এই গোলাপগঞ্জের তরুণ তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন।