সেক্স ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েন দেশের ১২ তারকা

স্ক্যান্ডালের মতো ভয়াবহ বদনাম থেকে এড়াতে পারেননি বাংলাদেশের বিনোদন জগতের কোনো কোনো তারকা। সেক্স স্ক্যান্ডালের কারণে ধস নেমেছে তাদের ক্যারিয়ারে। এর মধ্যে বেশি আলোচিত হন ১২ নায়িকা-গায়িকা।

ইভা রহমান: সঙ্গীতশিল্পী ইভা রহমানের নামে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও-চিত্র ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এতে দেখা যায়, একটি হোটেল কক্ষে এক বিদেশীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আছেন ইভা রহমানের মতো দেখতে এক নারী। পরে এটি গুজব বলে প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিন্নি: একটি সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে মডেল অভিনেতা তিন্নি-হিল্লোল দেশজুড়ে সমালোচিত। একটি হোটেল কক্ষে তরুণ-তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ দুজনের নামে ছেড়ে দেয়া হয় বাজারে। এই ভিডিওটির সত্যতা মেলেনি।

প্রভা: ২০১০ সালের সবচেয়ে আলোচিত নাম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। প্রভার বয়ফ্রেন্ড রাজীব একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন। এরপর এই অভিনেত্রী ক্যারিয়ার থেকে সরে পড়তে বাধ্য হন। রাজীব ও প্রভার বিয়ে পারিবারিকভাবেই চূড়ান্ত হয়েছিল। এর মাঝে প্রভা পালিয়ে অপূর্বকে বিয়ে করেন। প্রতিহিংসার বশে রাজীব প্রভার একান্ত কিছু ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন।

চৈতি: ২০১১ সালে মডেল ও উপস্থাপিকা চৈতির একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হয়। নির্মাতা এনামুল কবির নির্ঝরের সাথে এই ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় চৈতিকে। এরপর অনেক দিন মিডিয়ায় দেখা যায়নি এই তারকাকে।

মেহজাবিন: বছরকয়েক আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে মেহজাবিনের নামে এক পর্নো ক্লিপ। মেহজাবিন জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে শত্রুতা করে কে বা কারা এই অপপ্রচার চালিয়েছে।

সারিকা: ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েব সাইটে সারিকার নামে একটি পর্নো ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রকাশিত ভিডিওর নারী চরিত্রটি সারিকার নয় বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান।

আনিকা কবির শখ: জনপ্রিয় মডেল আনিকা কবির শখের নামে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ভিডিওতে বিবসনা নারীটি শখ ছিল না বলে জানা গেছে।

বিদ্যা সিনহা মীম: গত বছর এক বিদেশি ক্রিকেটারের সাথে লাক্স সুপারস্টার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীমের আপত্তিকর দৃশ্যের ফুটেজ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এটা আসলেই তারকা বিদ্যা সিনহা মীম কিনা তা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন।

পড়শী: হালের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পড়শীও রেহাই পায়নি এই সাইবার ক্রাইম থেকে। পড়শীর নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যদিও ভিডিওর মেয়েটি যে পড়শীই তা নিশ্চিত হতে পারেনি কেউ।

বিন্দু: নাট্যকার-সাংবাদিক অরুণ চৌধুরীকে জড়িয়ে একটি ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। আর এর সাথে যুক্ত হয় জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা বিন্দুর নাম। পরে জানা যায়, ভিডিও-চিত্রের তরুণী অভিনেত্রী বিন্দু ছিলেন না।

মিলা: ইন্টারনেটে ‘মিলা’ নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাতাল অবস্থায় থাকা তরুণীর চিত্র রয়েছে। এ ঘটনার কয়েকমাস পর মিলা মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভিডিওচিত্রের মেয়েটি তিনি নন।

নোভা: মডেল অভিনেত্রী নোভাকে ক্যারিয়ারের উঠতি সময়ে বিপাকে ফেলে দেয় একটি ভিডিও ফুটেজ। ২০১০ সালে তার নামে একটি অর্ধ বিবসনা ফুটেজ ছড়িয়ে পরে। তবে ফুটেজটি নোভার কিনা তার সত্যতা মেলেনি।