সেনা সদস্যদের দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা চেয়ে রিট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) সদস্যদের দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিটে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতা কেন অসংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

সঙ্গে সঙ্গে, সারাদেশের সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়াও এক দলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রিটকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। রিটে ২০ বা ১৪ দল নামে জোট গঠন করে নির্বাচন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ১৪ দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০ দলের পক্ষ বিএনপি মহাসচিব, রাশেদ খান মেনন, মির্জা আব্বাসসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

তিনি (ইউনুছ আলী আকন্দ) আইনজীবী ও ঢাকা-৮ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী। আইনজীবী ইউনুছ আলী জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রিটটি হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।