সেলফিতে ‘ছুঁচোমুখ’ দেখে হেঁচকি ওঠার জোগাড়

সেলফি অর্থাৎ নিজে নিজের ছবিটা তুলে ফেলা। এখন তো অক্সফোর্ড ডিকশনারিতেও জায়গা করে নিয়েছে সেলফি। বর্তমানে সেলফি ছবি তোলাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারও আশায় বসে না থেকে নিজে নিজের ছবিটা তুলে ফেলেন প্রায় সকলেই। যেখানে যেভাবে আছেন সেলফি তুলে তা ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেয়াটা যেন চাই-ই চাই।

সেলফি তোলা আজ আমাদের নেশা হয়ে গেছে। সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট না করতে পারলে যেন শান্তি হয় না। কোন একটা জীবন থেকে বাদ চলে যায় মনে হয়। অনেকে অনেক স্টাইলে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে থাকেন। ঠোঁটকে সূচালো করে এই বিশেষ মুখভঙ্গী কি সামাজিক বিদ্রোহ, তার গভীরে কি থেকে সমাজ, সংসার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে ভেংচি? নাকি এর কোনটাই নয়!

ফেসবুক জুড়ে এই কাণ্ড। ইনস্টাগ্রামে অনেকের প্রবেশ সীমিত, তাই সেখানে এতটা নয়। কিন্তু ফেসবুকে সেলফির মেলায় এই ‘ছুঁচোমুখ’ দেখে হেঁচকি ওঠার জোগাড়। কিন্তু, কেন যে কেউ ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না, সেটাই আশ্চর্য বিষয়!

এই বিশেষ মুখভঙ্গিটির কেতাবি নাম ‘পাউট’। ইন্টারনেটে লব্ধ মেরিয়াম-ওয়েবস্টার ডিকশনারি জানাচ্ছে, এর অর্থ— ‘to show displeasure by thrusting out the lips’। কিন্তু সেলফি তুলতে গেলে কেন এমন মুখভঙ্গি করতে হচ্ছে মেয়েদের, সেটা ভাবার বিষয়। কী এমন ডিসপ্লেজার বা অসন্তোষের কাণ্ড ঘটল যে, ‘নিজস্বী’ তুলতে গেলেই এই ছুঁচোমুখ?

শুধু সুন্দরীরাই নন, দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু পুরুষও ইদানীং ছুঁচোমুখে পাউট করে সেলফি তুলে আপলোড করে ধামাকা মচাচ্ছেন। ঠোঁটকে সূচালো করে এই বিশেষ মুখভঙ্গি কি সামাজিক বিদ্রোহ, তার গভীরে কি থেকে সমাজ, সংসার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে ভেংচি? নাকি এর কোনটাই নয়! জনৈকা তরুণী জানালেন, এটা ট্রেন্ড। কিন্তু ট্রেন্ডেরও তো একটা মাথাছাতা থাকে। কী এর রহস্য?

একাধিক লাইফস্টাইল-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, এর পিছনে নাকি কাজ করছে যৌন আবেদন তৈরির অভিপ্রায়। এই সূচালো মুখভঙ্গি চুম্বনের এক মহড়া বলে মনে হতেই পারে। এর এইখান থেকেই জন্ম নিতে পারে ফ্যান্টাসি।

কারণ, পাউট-কারীর ঠোঁট এই ভঙ্গিমায় পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হয়। আবার এক্ষেত্রে হনুর হাড় ও চোয়াল স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় বলে অনেকে এই ভঙ্গিমাকে আকর্ষণীয় বলে মনে করেন। কিন্তু মজার ব্যাপার, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পাউট করা সেলফির মহিলাদের চাইতে পুরুষরা পাউট না-করা মহিলাদের পছন্দ করেছেন ৩৩ শতাংশ বেশি।