সোনার বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই : টিআইবি রিপোর্ট

দেশের সোনার বাজার চোরাচালানের ওপর নির্ভরশীল। এখানে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছেন ব্যবসায়ীরা। আর চোরাচালানের সঙ্গেও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ জড়িত। বিমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে তারা এ কাজ করছেন। এ অবস্থার উত্তরণে দ্রুত স্বর্ণের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার টিআইবি কার্যালয়, মাইডাস সেন্টারে গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়।

মো. রফিকুল হাসান, মো. রেজাউল করিম ও অমিত সরকার গবেষণাটি পরিচালনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

গবেষণায় স্বর্ণ খাতের নীতিমালা তৈরির জন্য ১৫ সেকশনে ৯০ সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিদিন দেশের স্বর্ণের লেনদেন ২৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে বছরে লেনদেন ৬ হাজার কোটি টাকা। আর প্রতি বছর দেশে সোনার চাহিদা ২০-৪০ টন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আসে ১৮-৩৬ টন। বর্তমানে দেশে ছোট-বড় ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার পর্যন্ত সোনার দোকান আছে। সব মিলিয়ে এখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫ থেকে ২০ লাখ লোক কাজ করছে। কিন্তু বিশাল এ বাজারটির প্রায় পুরোটাই চোরাচালানের ওপর নির্ভরশীল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা ড. সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম এবং সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিত সরকার।