সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে জনস্রোত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে জনস্রোত নেমেছে। শনিবার সকাল থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ক্ষমতাসীন দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন। এখানেই জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হবেন শেখ হাসিনা। ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন এবং বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করায় তাকে এই গণসংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।

বিকেল তিনটা থেকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। শুরুতে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বলিত ৩০ মিনিটের একটি পরিবেশনা থাকবে। মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতাকর্মীদের হলুদ ক্যাপ ও টি-শার্টে সুসজ্জিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে দেখা গেছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা পরেছেন লাল ক্যাপ ও টি-শার্ট।

ঢাকার বাইরে থেকেও আসা আওয়ামী লীগের মিছিল চোখে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত সকাল নয়টায় বিশাল বহর নিয়ে সোনারগাঁও থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

আগতরা ঢাক-ঢোলের তালে তালে জয়বাংলা, বাংলার জয়; ভোট দিন ভোট দিন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আবারো নৌকায় ভোট দিন স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত করে তুলেছেন।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে ৩ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

ইতোমধ্যে সংবর্ধনাস্থলকে সাজানো হয়েছে নান্দনিকভাবে। ইংরেজী বর্ণ এল (L) আকৃতিতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে ৩০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।