সৌদিতে বেকার হওয়ার শঙ্কায় হাজার হাজার প্রবাসী

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় প্রতিনিয়তই পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। পেশা হিসেবে ঘড়ি, মেডিকেল যন্ত্রাংশ, চশমার দোকান, ভবন নির্মাণ, কার্পেটের দোকান, গৃহস্থালির কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। সম্প্রতি দেশটিতে প্রবাসীদের জন্য কড়াকড়ি আইন করায় এসব পেশায় আর থাকতে পারবে না।

সৌদিতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (এমএলএসডি) ১২ ক্যাটাগরির কাজ বিদেশি শ্রমিকদের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দেশটির সব এলাকায় ২০০ পরিদর্শক নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশিসহ হাজার হাজার বিদেশি শ্রমিক বেকার হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন।

যে ১২টি খাতে প্রবাসীরা কাজ করতে পারবে না, সেগুলো হলো:

১. ঘড়ির দোকান
২. চশমার দোকান
৩. মেডিকেল যন্ত্রাংশের দোকান
৪. ইলেক্ট্রিক সামগ্রী এবং ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান
৫. গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান
৬.ভবন নির্মাণ সামগ্রীর দোকান
৭.কার্পেটের দোকান
৮.গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের শো-রুম
৯.গৃহস্থালি ও অফিস আদালতের আসবাবপত্রের দোকান
১০.তৈরি পোশাক এবং শিশু ও পুরুষদের টুকিটাকি জিনিসের দোকান
১১.গৃহস্থালি টুকাটাকি জিনিসের দোকান এবং
১২.পেস্ট্রির দোকান

প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে, এর আগে এদেশে যে কোনো পেশায় তারা কাজ করতে পারতো। কফিলে সমস্যা করলেও বিভিন্ন দোকানে কাজ করার সুযোগ ছিল। দেশটিতে কড়াকড়ি আইন করায় প্রবাসীরা দিনে দিনে অসহায় হয়ে যাচ্ছে। এদেশে বহু মানুষ এই ১২ ক্যাটাগরির কাজের সঙ্গে জড়িত। সৌদির শ্রম মন্ত্রণালয়ের টিম মাঠে নামবে। ফলে বিপাকে পড়তে যাচ্ছে হাজার হাজার প্রবাসী শ্রমিক।

সৌদি গ্যাজেট পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের, ১২ সেক্টরে ৭০ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে সৌদিকরণ বাস্তবায়নের জন্য পরিদর্শন টিম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

জানা গেছে, পরিদর্শন টিম কীভাবে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও ডকুমেন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন নিয়মনীতি অবলোকন করবেন সেজন্য দেশটির সব এলাকায় শক্তিশালী পরিদর্শন টিম তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আগামী হিজরি বর্ষের শুরু থেকে ১২ ক্যাটাগরি বিক্রয় কেন্দ্র তথা দোকানে কোন তারিখ থেকে তারা কোন সেক্টরে পরিদর্শনে যাবেন সে সম্পর্কিত একটি গ্রাফ সৌদি গ্যাজেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। গ্রাফটি সর্ব সাধারণের জন্য সৌদি গ্যাজেট পত্রিকার সৌজন্যে দেয়া গেল।