সৌদি সাংবাদিক হত্যায় নীরব কেন ট্রাম্প?

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সৌদি সরকারবিরোধী সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীরবতা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত আরবি দৈনিক রাই আল-ইয়াওম।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নীরবতা প্রমাণ করছে যে, এই হত্যাকাণ্ডে মার্কিন সরকারের মদত রয়েছে। সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজতন্ত্রবিরোধী এই সংবাদিককে হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সৌদি ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক খাসোগির হত্যাকাণ্ডকে যত দ্রুত সম্ভব যাতে ধামাচাপা দেয়া যায় সেজন্য মার্কিন সরকার এ ব্যাপারে টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না। সৌদি রাজতন্ত্রের ঘোর বিরোধী খাসোগি ২০১৭ সাল থেকে আমেরিকায় স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন।

সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। গত মঙ্গলবার জরুরি কাজে তিনি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে প্রবেশ করেন। বিবাহ-বিচ্ছেদের সার্টিফিকেট নিতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই জামাল খাসোগি নিখোঁজ হন। ছয়দিন পর তুরস্ক পুলিশ বলছে, তাকে হয়তো কনস্যুলেটের ভেতরেই খুন করা হয়েছে।

জামাল খাসোগি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক। তাকে হত্যা করা হয়েছে- এমন ধারণার পক্ষে কোন প্রমাণ দেয়নি তুর্কী পুলিশ। এদিকে, সৌদি কর্মকর্তারা একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বিচিত্র এই ঘটনার শুরু মঙ্গলবার। খাসোগির সাথে হাতিস চেঙ্গিজ নামে এক তুর্কী নারীর প্রণয় চলছিল। হাতিসকে নিয়েই তিনি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট ভবনে এসেছিলেন। চেঙ্গিজ বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন এবং খাসোগি কনস্যুলেটের ভেতরে যান। কিন্তু খাসোগি আর বেরিয়ে আসেননি।