সৌম্যর মতো বিজয়কে আগলে রাখবেন মাশরাফি

অফফর্মের কারণে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার সৌম্য সরকার। তবে বাদ পড়লেও ক’দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে তাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেশের হয়ে শতভাগ দিয়ে খেলার কারণেই অধিনায়কের কাছ থেকে এই সম্মান পেয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বাজে সময়ে তাকে আগলে রেখেছেন। সৌম্যর জায়গায় সুযোগ পেয়ে একইরকম নিঃস্বার্থ ব্যাটিং দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর চেষ্টা করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ইনিংস লম্বা করতে না পারলেও তার ব্যাটিংয়ের ধরনে খুশি হয়েছেন অধিনায়ক। এমনভাবে ব্যাটিং করলে ভবিষ্যতে তাকে আগলে রাখার চেষ্টা করবেন বলেই জানিয়েছেন মাশরাফি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের দিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তার আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার নিজেদের ঝালিয়ে নিল টাইগার দল। অনুশীলনে নামার আগেই পরের ম্যাচ নিয়ে কথা বললেন মাশরাফি। সেখানেই বিজয়ের ব্যাটিংয়ে তার মুগ্ধতার কথা জানালেন, ‘প্রায় আড়াই তিন বছর পর বিজয় দলে এসে সে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে আসলে আমরা এটাই চাই। ভয়হীন ক্রিকেট খেলুক। অবশ্যই ওর জায়গা থেকে ওর রানটাকে বড় করার সুযোগ ছিল। কারণ লক্ষ্যটা এতো বড় ছিলো না। আমাদের সেই চাপও ছিলো না। তারপরও ও যেভাবে ব্যাটিং করেছে আমরা শতভাগ তাকে ব্যাকআপ করবো। সে যে অনেক ইতিবাচক এটাই প্রমাণ করে। তার মাইন্ড সেটআপ…আমরা দল থেকে যেটা চাই সেভাবেই সে খেলেছে।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে খুব বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে। ১৭১ রানের সাদামাটা লক্ষ্য। সে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন বিজয়। শেষ পর্যন্ত ১১ বলে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। ছিল চারটি বাউন্ডারি। ভালো শুরুর পরেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে তার ব্যাটিংয়ের ধরন পাল্টেছে। বিজয়ের দুর্ণাম আছে দলের প্রয়োজনের কথা মাঝে মাঝে ভুলে নিজের জন্য খেলার। কিন্তু এতদিন পরে ফিরে প্রথম ম্যাচেই মানসিকভাবে নিজেকে বদলে ফেলার আভাসটা রাখতে পেরেই প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। আসলে এমন সাহসী এবং ভয়ডরহীন ক্রিকেটই দেখতে চায় বাংলাদেশ। মূলত এ কারণেই বিজয়কে বাজে সময়েও আগলে রাখার কথা বলেছেন অধিনায়ক মাশরাফি। তার এই কথার মূল অর্থ হলো, দলে যখন যোগ্যতা দিয়ে ফিরেছেন বিজয় তাহলে তাকে সময় দেওয়া হোক আবার নিজেকে প্রমাণের।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় দলে সৌম্য সরকারের অভিষেকটা দুর্দান্তই হয়েছিলো। আগ্রাসী ব্যাটিং করে বেশ কিছু ম্যাচ জয়ের একক নায়কই ছিলেন তিনি। আর তাই কোচ অধিনায়ক হতে শুরু করে পুরো টিম ম্যানেজমেন্টই সৌম্যকে বাজে সময়েও বারবার সমর্থন করে এসেছেন। ওপর দিকে ইনিংসের মাঝে এসে ধীর গতিতে ক্রিকেট খেলায় বিজয় ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেও সুযোগ পাননি। তবে এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতেই যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে অধিনায়কের মনোযোগ কেড়ে নিতে পেরেছেন বিজয়।