স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে সম্বন্ধীর স্ত্রীকে হত্যা!

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নে স্ত্রী আয়শা আক্তার (২২) ও আয়শার ভাবি সালমা আক্তারকে (৩০) গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিহত আয়শার দুবাই ফেরত স্বামী শওকত আলী (৩০) এই ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার পরপর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী শওকতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

শওকত আলীর বাড়ি নিকলীর গুরুই পশ্চিমপাড়ার বাংলাবাড়ি গ্রামে। দেড় মাস আগে তিনি দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসেন।

নিহতদের মধ্যে শওকত আলীর স্ত্রী আয়শা আক্তার পাশের গুরুই পূর্বপাড়া গ্রামের গোলাপ মুন্সীর মেয়ে ও সালমা আক্তার নিহত আয়শার বড় ভাই মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় বাসিন্দা শামসুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আজ বেলা ১১টার দিকে পশ্চিমপাড়ার বাংলাবাড়ি গ্রামের নিজ ঘরে স্ত্রী আয়শা আক্তারকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন শওকত আলী। স্ত্রীর লাশ ঘরে তালাবদ্ধ করে রক্তমাখা ছুরি কাপড়ে লুকিয়ে পাশের গুরুই পূর্বপাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে দৌঁড়ে যান শওকত।

শওকতকে দেখে সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী দুই সন্তানের মা সালমা আক্তার এগিয়ে যান। সালমা আক্তার অপ্রকৃতিস্থতার কারণ জানতে চাইলে শওকত কাপড়ে লুকানো ছুরিটি বের করে তাঁকে জবাই করে ঘটনাস্থলেই হত্যা করেন।

সালমাকে হত্যার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শওকতকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শওকতকে আটক করেন।

এলাকাবাসী জানায়, শওকত আলীর পরিবারের লোকজন আগে থেকেই খুন-ডাকাতিসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। ঘটনার পরপরই পুলিশের বাজিতপুর সার্কেলের কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

ওসি মো. নাসির উদ্দিন জানান, পারিবারিক কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুজনের লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আয়শা আক্তারের বাবা গোলাপ মুন্সী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।