স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, বন্ধুর শরীরের মাংশ ফ্রিজে

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া বন্ধুর। এমন সন্দেহের দানা দীর্ঘদিন থেকেই। কিন্তু এর স্বপক্ষে নেই কোন তথ্য ও প্রমাণ। তারপরও সন্দেহ চলে প্রতিনিয়ত। আর এই সন্দেহের কারণেই বন্ধুকে খুন করলেন আরেক বন্ধু। শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হলেন না খুনি বন্ধু। করলেন আরো অনেক কিছু।

৩১ বছর বয়সী বাদল মণ্ডল ওরফে স্বপন সিংড়ার সঙ্গে কাজ করতেন বিপিন যোশি। হঠাৎ করেই বাদল সন্দেহ করতে থাকেন যে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করছেন বিপিন। সেই সন্দেহই কাল হলো।

বন্ধু বিপিনকে খুন করে তার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করেন বাদল। তারপর তা ভরে রাখেন ফ্রিজে!

পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের দক্ষিণ দিল্লির মেরাউলিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বাদল মাংস কাটার ছুরি দিয়ে বিপিনের মাথা কেটে ফেলেছিলেন এবং নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটের ফ্রিজে তাঁর শরীরের কাটা অংশগুলো ভরে রেখেছিলেন।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন বিপিন ও বাদল। ৯ অক্টোবর থেকে বিপিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

গত রোববার বাদলের বাসার ফ্রিজ থেকে বিপিনের টুকরো টুকরো লাশ পাওয়া যায়। এর তিন দিন পর ওডিশা থেকে বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাদল পুলিশকে জানান, তার অনুপস্থিতিতে বিপিনকে বেশ কয়েকবার বাড়িতে যেতে দেখেছেন তিনি। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বিপিনের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করেন তিনি। সেই কারণেই বিপিনকে খুন করার ছক কষেন বাদল।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, খুন করার কিছুদিন আগে রেস্তোরাঁ থেকে ছুটি নিয়েছিল বাদল। কেউ যেন খুনের জন্য বাদলকে সন্দেহ না করতে পারে, সে জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই ছুটি নেওয়া হয়েছিল।

ঘটনার দিন বাদল বিপিনের সঙ্গে মদ্যপান করেন। তারপর বাদল তাকে খুন করেন। খুনের পর বাদল প্রথমে কলকাতায় পালিয়ে যান। দিল্লি পুলিশের একটি দল তাঁর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুরুলিয়া গ্রামে পৌঁছালেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ওডিশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।