বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য সুন্দর পরিবেশ আছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই পরিবেশ থাকবে বলে প্রত্যাশা তার।

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শনিবার ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এই দাবি করেন।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি দাবি করেন, তা আছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগের সরকারগুলো নিজেদের ইচ্ছেমত নির্বাচন কমিশন করত। আর আমাদের সময়ে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন হয়। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে এই স্বচ্ছতা আনতে পেরেছে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন। সিলেটে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই দেখলেন, আমাদের প্রার্থী মাত্র আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে গেল। এত কম ভোটে যে হারল, আমরা তো কই ওই ভোট পরিবর্তন করা, বা হাত দেওয়া আমরা তো কিছু বলিনি। আমাদের প্রার্থীও সেইভাবে নিয়েছে। এটা কি প্রমাণ করে না যে এখন ইলেকশন করার মতো যথেষ্ট সুন্দর পরিবেশ আছে।’

অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে বেসরকারি খাত একা কিছু করতে পারে না। বেসরকারি খাতের কাজ করার সুযোগ সরকারকেই করে দিতে হয়। তার সরকার সেটাই করে দিয়েছে।

উন্নয়ন হয়নি বলে যারা সরকারের সমালোচনা করে তাদের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘চোখ থাকলেও যদি অন্ধ হয়, তাকে কি আপনি কিছু দেখাতে পারবেন? আমার মনে হয় না।’

রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি কাদের সহযোগিতা পেয়েছেন- এই প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষগুলো। কারণ তাদের জমি। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিটি সংস্থা। সারা বিশ্বই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য নিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের আসামে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়া ৪০ লাখ মানুষকে ‘বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করাকে তাদের নিজস্ব পলিটিক্স বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।