স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সুন্দরবনের ৩ দস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ

জীবনে ফিরে আসতে সুন্দরবনের ৩ দস্যু বাহিনীর মোট ৩৮ জন সদস্য তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছে।

মঙ্গলবার বিকালে বরিশাল নগরীর রুপাতলী এলাকায় র‌্যাব-৮-এর সদর দফতর কমপ্লেক্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করে।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা নিজেদের ভুল বুঝে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইছেন- আমরা যেমন তাদের স্বাগত জানাচ্ছি তেমনি যারা এখনো ভুল পথে আছেন তাদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি যে, দস্যুতা করবেন, মানুষের জানমাল ধ্বংস করবেন আর আমরা বসে থাকব তা হবে না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

র‌্যাব-৮-এর কর্মকর্তারা জানান, আত্মসমর্পণ করা ৩৮ জন সুন্দরবনের বড় ভাই এবং সুমন বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা ও আলাপ-আলোচনার পর এরা দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে রাজি হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে আত্মসমর্পণের সময় দস্যুরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৩৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিভিন্ন ধরনের ২ হাজার ৯৬৯ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয়।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের অর্থ সহায়তা দেয়া হবে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। তাছাড়া হত্যা এবং নারী নির্যাতন ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারেও সহানুভূতিশীল ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সঠিক দায়িত্বপালনের কারণে সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরসহ পুরো উপকূলীয় এলাকা এখন অনেকটাই নিরাপদ। যারা এসব দস্যু বাহিনীকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন কিংবা ফায়দা নিচ্ছেন তাদেরও রেহাই দেয়া হবে না। খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমর আল রাজীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ। তিনি সুন্দরবনে দস্যুতা প্রতিরোধে ৩টি ক্যাম্প করার ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেসা আফরোজ, বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম এবং পুলিশ কমিশনার রুহুল আমিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।