স্বস্তির বৃষ্টিতে তীব্র যানজট, বাড়ছে নগরবাসীর ভোগান্তি

তীব্র গরমে বৃষ্টি স্বস্তি ফিরিয়ে আনলেও রাজধানীবাসীর জন্য এ এক চরম ভোগান্তির নাম। বিশেষ করে অফিসগামী যাত্রীদের জন্য স্বস্তির বৃষ্টি দেখা দেয় অস্বস্তি হিসেবে। সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীতে থেমে থেমে কখনও হালকা আবার কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস, আদালত, ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নিয়মিত যানজটের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমে বেশিরভাগ সড়কে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।

এদিকে ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এ মাসে গত কয়েক দিনে দফায় দফায় বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে দুর্ভোগে পড়ছেন নগরবাসী। বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র যানজটে এ ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণ।

সোমবার বৃষ্টির সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত নিচু স্থানগুলোতে হাঁটুপরিমাণ পানি জমেছে। সেই পানিতে ভাসছে নোংরা-আবর্জনা। বিশেষ করে নগরীর শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, বাড্ডা, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও রামপুরাসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে অফিসগামী মানুষদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।

এ ছাড়া নগরীর অধিকাংশ সড়কের পাশে সিটি করপোরেশনের ড্রেন ও ওয়াসার পানির সংযোগ লাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কাজ চলায় খোঁড়া গর্তে পানি জমে সড়কের সঙ্গে মিশে সমান হয়ে গেছে। ফলে এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে।

মো. সুজন হাওলাদার নামে এক নগরবাসী ঢাকা মেডিকেলে গিয়েছিলেন স্বজনকে রক্ত দিতে। রক্ত দিয়ে তার অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু সুজন বলেন, ‘সকাল নয়টা থেকে বসে আছি, এখনও অফিসে যেতে পারিনি। আর যে যানজট লেগেছে অফিসে যেতে আর যে কয় ঘণ্টা লাগবে তা বুঝতে পারছি না। এদিকে তো কাকভেজা ভিজেছি।’

চরম বৃষ্টিতে অফিসগামী অনেককেই দেখা গেছে বিভিন্ন দোকানে বা বাস স্টপের ছাউনিতে আশ্রয় নিতে। যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে কেউবা ভিজেই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

বৃষ্টিমুখর আবহাওয়া প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, ‘মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সকাল ১০টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে।’