স্বাধীনতার পর চালের দাম এবার সর্বোচ্চ

বেঁচে থাকার অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য পণ্য চালের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার কেউ নেই। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে চালের দাম। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের খাদ্য মোটা চালসহ সব ধরনের চাল স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশে ভয়াবহ এ চাল বিপর্যয়ের কারণে মোটা চাল কিনতে হলেও গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকারও বেশি।

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর দেশে মোটা চাল সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আর চিকন চাল বিক্রি হয়েছিল ৫৬ টাকা কেজি দামে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সেনা শাসন আমলে চালের এ দর আরো বাড়ে। তবে এবার বর্তমান সরকার চালের দাম নিয়ন্ত্রণে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

শনিবার রাজধানীর রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের প্রধান খাদ্য মোটা চাল স্বর্ণা প্রতিকেজি ৫০ টাকা, পাইজাম ৫০ থেকে ৫২ টাকা, চায়না ইরি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পারিজা ৫০ টাকা, বিআর২৮ ৫০ টাকা, মিনিকেটে একটু ভাল মানের ৫৮-৬২ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৪-৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৫৪ টাকা, নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬২ টাকা, বাসমতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, কাটারিভোগ ৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৫৪ টাকা এবং পোলাও চাল খোলা ৯০- ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের চাল বিক্রেতা রায়হান উদ্দিন বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ কম। পাইকারী বাজারে বর্তমানে মিল মালিকরা চাহিদা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করতে পারছেন না। একই অবস্থা খুচরা বাজারেও। খুচরা বিক্রেতারা চাহিদা অনুযায়ী চাল পাচ্ছে না পাইকারদের থেকে। তাই চালের দাম বাড়ছে।

তিনি বলেন, বাজারে গুজব আছে সরকারের হাতেও নাকি পর্যাপ্ত চাল নেই। এই অবস্থায় মিল মালিকরা ধানের দাম বেশি দেখিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছি। বেশি দাম না দিলে তারা চাল ছাড়ছে। এটাও চালের দাম বাড়ার একটা প্রধান কারণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে চালের দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রায়হান উদ্দিন।

এদিকে রামপুরা বাজারে চাল কিনতে আসা ষাটোর্ধ আবুল কালাম বলেন, আমার জন্মের পর চালের এত দাম আগে দেখিনি। বিশেষ করে গরীব-খেটে খাওয়া মানুষের নিত্যপণ্য মোটা চালের দামতো কখনোই বর্তমান দামের ধারে কাছেও যায়নি। দেশে এভাবে চালের দাম বাড়তে থাকলে আমরা কোথায় যাব, কী খাব?