স্বামীকে তালাক দেয়ায় স্ত্রীকে ক্ষুরের আঘাত

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীকে তালাক দেয়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ক্ষুরের আঘাতে আহত হয়েছেন স্ত্রী। উপজেলার বরামা জাম্বুরীটেক গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত তালাকপ্রাপ্ত ওই স্বামীর নাম মজনু মিয়া (৪৫)। তিনি একই জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ঝাউয়াদি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।

আহত মল্লিকা বেগম (২৮) জানান, আট বছর আগে অভিযুক্ত মজনু মিয়া তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করত মজনু। যৌতুক দিতে না পারায় ৬ বছর আগে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে আসেন তিনি। কিন্তু আদালতের মাধ্যমে দুবার তালাক দেয়ার পরও অভিযুক্ত স্বামী তালাকপত্র গ্রহণ করেনি। পরে গত চার মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাকে তালাকপত্র পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে প্রতিবেশীর ঘরে টিভি দেখছিলেন তিনি। তালাক দেয়ার অপরাধে অভিযুক্ত স্বামী মজনু মিয়া তাকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে। পরে উঠানে ক্ষুর দিয়ে গলায় আঘাতের চেষ্টা করে। প্রতিরোধ করতে গেলে বাম হাতের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এক পর্যায়ে দুই গালে পোঁচ দিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক না থাকায় অভিযুক্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আহতকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

তবে অভিযুক্ত মজনু মিয়া বলেন, নিজের হাত ও গাল নিজে কেটে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তার স্ত্রী। যদি তালাক দিতে হয় তাহলে এতদিন সে যেসব সম্পদ ভোগ করেছে তা ফেরত দিতে হবে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালমা নূর জানান, ধারালো কোনো বস্তুর আঘাতে ওই নারীর হাতে রগ কেটে গেছে। দুই গালেও একইরকম আঘাত রয়েছে। জখমগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা সেরে আসার পর তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে নারী আহতের খবর শুনে পুলিশ উদ্যোগী হয়ে আইনি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।