স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে ভেবে স্ত্রীর আত্মহত্যা

বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাপ্পীর স্ত্রী শম্পা ইসলামের (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের রহমাননগরের বাড়ির শয়ন ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, সকালে দাম্পত্য কলহে স্বামী বাপ্পী মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন স্ত্রী সম্পা মনের দুঃখে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

বনানী ফাঁড়ির এসআই আবু সাঈদ বলেন, গৃহবধু সম্পা আত্মহত্যা করেছেন। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বগুড়া পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফুর রহমান আরিফ জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম বাপ্পী প্রায় ১৭ বছর আগে শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল বাজার এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শম্পাকে বিয়ে করেন। তাদের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে দীপ্তি ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে শাদ রয়েছে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দাম্পত্য কলহে বাপ্পী অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে অচেতন হয়ে পড়েন। তখন শম্পা ঘরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। দুপুরে বাড়ির লোকজন তার আত্মহত্যার ঘটনা টের পেয়ে সদর থানায় খবর দেন।

পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

শম্পার মা মোরশেদা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাপ্পী ঘুমের ওষুধ সেবন করে। তিনি মারা গেছে ভেবে তার মেয়ে শম্পা ঘরে ঢুকে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তিনি সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।