স্মার্ট ফেন্সিং-ড্রোন দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াবে ভারত

আগামী বছরের মধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন করবে বিএসএফ। স্মার্ট প্রাচীরও নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। চোরাচারালান এবং অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভারতের ধুবড়ি সীমান্তের ৪৮.১২ কিলোমিটার এলাকায় দেশীয় প্রযুক্তিতে স্মার্ট ফেন্সিং দেবে ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন বিএসএফ এর ডিজি কে কে শর্মা।

গত ২৯ নভেম্বর দিল্লিতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অাসামের ব্রহ্মপুত্র নদী জুড়ে ধুবড়ি সীমান্তের ৪৮.১২ কিলোমিটার এলাকায় এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে ধুবড়িতে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে।

জানা গেছে, ইনফ্রা-রেড রশ্মির সাহায্যে স্মার্ট বেড়া অবৈধভাবে মানুষ কিংবা পশুর চলাচল শনাক্ত করবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক সিগন্যাল কন্ট্রোল রুমকে সতর্ক করবে। এই এলাকা দিয়েই ব্যাপকভাবে অবৈধ পাচারের কাজ হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে সেখানে নৌকার সাহায্যে টহল দেওয়া হয়।

বিএসএফ ডিজি শর্মা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, অাসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন চাওয়া হয়েছে। এগুলো পাওয়া গেলে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার কাজ আরও সহজ হবে। ‘সবচেয়ে অরক্ষিত ও কুখ্যাত এলাকাগুলো’ দিয়ে গবাদি পশু পাচার, জাল ভারতীয় মুদ্রা, অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক পাচার রুখতে সীমান্ত এলাকায় আরও পাঁচটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের জন্য আবেদন জানিয়েছে বিএসএফ।

বিএসএফ প্রধান বলেন, সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ‘খুবই আন্তরিক’ সম্পর্ক রয়েছে। গবাদি পশু পাচার-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে তা কমে আসছে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে ২০ লাখের বেশি গরু পাচার হতো। এখন তা কমে পাঁচ থেকে ছয় লাখে নেমে এসেছে।